প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদসহ অন্যান্য নেত্রীবৃন্দ।
রোববার পৃথক শোক বার্তায় তারা এ শোক জানান।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ,সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খাইরুজ্জামান লিটন, গাজীপুর সিটি মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম গভীর শোক প্রকাশ করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোকাহত চ্যানেল আই পরিবার। রাবেয়া খাতুনের মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বাংলা একাডেমি চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন। বিকেল ৩টায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন। রাবেয়া খাতুন স্মরণে চ্যানেল আই ভবনে শোক বই খোলা হয়েছে।
ছিয়াশি বছরে মারা যাওয়া রাবেয়া খাতুন সাহিত্যের সকল শাখায় সফলভাবে বিচরণ করেছেন। দীর্ঘ জীবনে তিনি বাংলা সাহিত্যকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন তেমনি ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য পুরস্কারেও।
বাংলা সাহিত্যে উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম রাবেয়া খাতুন। ১৯৩৫ সালে বিক্রমপুরে জন্ম তার। লেখালেখির পাশাপাশি শিক্ষকতা এবং সাংবাদিকতাও করেছেন।
উপন্যাস, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথাসহ চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতেও বিচরণ রাবেয়া খাতুনের। তার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘মেঘের পরে মেঘ’ জনপ্রিয় একটি চলচ্চিত্র। ‘মধুমতি’ এবং ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টিও প্রশংসিত হয়েছে সব মহলে।
তার স্বামী প্রয়াত এটিএম ফজলুল হক ছিলেন দেশের চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রথম পত্রিকা সিনেমার সম্পাদক ও চিত্রপরিচালক। বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’ এর পরিচালকও তিনি।
১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই তাদের বিয়ে হয়। তাদের চার সন্তানের মধ্যেে রয়েছে, ফরিদুর রেজা সাগর, কেকা ফেরদৌসী, ফরহাদুর রেজা প্রবাল ও ফারহানা কাকলী। বাংলা একাডেমি, চলচ্চিত্র জুরী বোর্ড, লেডিস ক্লাব, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, মহিলা সমিতিসহ অসংখ্য সংগঠনের সাথে ছিলেন রাবেয়া খাতুন।