কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করা নেতা-কর্মীদের অতীতে ছাড় দেওয়া হলেও আর ছাড় না দিতে নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভরাডুবি পর গাজীপুরের তিন ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ে বিদ্রোহী ও কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করাকে আওয়ামী লীগের পরাজয়ে বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের সভাপতি এ নির্দেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের মোর্চা সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের পরাজয়ের কারণ খুঁজে বের করতে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চ্যানেল আই অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে উপস্থিত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান।
গত ২৩ মার্চ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি, সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয় পায় বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে সমর্থিত প্রার্থীরা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আইনজীবীদের মোর্চা সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সমর্থিত প্রার্থীরা জয় পায় মাত্র ৪টি পদে।
দলের সভাপতি বৈঠকে উপস্থিত ওবায়দুল কাদেরের কাছে সুপ্রিম কোর্ট বার এবং গাজীপুরের তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ জানতে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী, ভাওয়াল মির্জাপুর ও ভাওয়াল গড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পরাজয়ে আবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দলের অভ্যন্তরের অন্তঃকলহ। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের প্রতি কঠোর হতে দলের সাধারণ সম্পাদকের প্রতি নির্দেশ দেন। নির্দেশনা না মানা নেতা-কর্মীদের আর কোন ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এছাড়া, ছাত্রলীগের সম্মেলন মে মাসে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয় সভা থেকে। মে মাসের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহের সুবিধাজনক সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত হয়।
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক উপস্থিত ছিলেন: কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কাজী জাফরউল্লাহ, সাহারা খাতুন, ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।