কঠোর লকডাউনের মধ্যেও যে যেভাবে পারছে ঢাকায় ফিরছে। ঢাকার প্রবেশ মুখগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি এড়িয়ে পায়ে হেঁটে, রিকশা, ভ্যানে করে ঢুকছে মানুষ। রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বাড়ার সাথে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানা উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। তবে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তাদের সচেতন করার পাশাপাশি জরিমানা করছে প্রশাসন।
চলতি দফা কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন আজ। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর ঢাকা প্রবেশ পথ গাবতলীতে পুলিশের কঠোর নজরদারি, গাড়ি তল্লাশি সবই চলছে। কিন্তু পাশ দিয়ে হেঁটে চলে আসছে লকডাউনের মধ্যেও দূরদুরান্ত থেকে ঢাকায় ফেরা যাত্রীরা।
দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকায় ঢোকার পথ বাবুবাজার ব্রীজ থেকে নেমেই দু’পাশে চলছে কড়া তল্লাশি। যারা কারণ দেখাতে পারছে তাদের যেমন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে তেমনি অকারণে বের হলে যানবাহনে গুণতে হচ্ছে মামলা। একই চিত্র পোস্তগোলা ব্রীজের ঢালে। সেখানেও রিক্সা-ভ্যানই যাত্রীদের বাহন।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রবেশ পথ চট্টগ্রাম রোডে অনেক বেড়েছে ব্যাক্তিগত গাড়ি, যে-যেভাবে পারছে ফিরছে নগরে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে যাওয়াতে গাড়ি বেড়েছে, পুলিশের নজরদারিও চলছে সমানতালে কিন্তু করোনা সংক্রমণ কমানোর জন্য যে লকডাউন আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা তা অনেকাংশেই উপেক্ষিত। এমনটাই বলছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট বি এম রুহুল আমিন রিমন।
লকডাউনের পাশাপাশি সংক্রমণ কমাতে জনগণকে সচেতন হতে হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।