গোল করা এবং করানো, ফুটবলে এই কাজ দুটো মোটেই সহজ না। কিন্তু কঠিন সেই কাজগুলো সহজেই করে চলেছেন লিওনেল মেসি। শনিবার লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে একই কাজ করে আরও দুটি রেকর্ডের মালিক হলেন বার্সেলোনার বরপুত্র।
জিরোনার বিপক্ষে রীতিমত গোল উৎসব করে জিতেছে বার্সেলোনা। লিগে নবাগত দলটিকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কাতালানরা। ম্যাচে লুইস সুয়ারেজের হ্যাটট্রিকের সঙ্গে জোড়া গোল করেছেন মেসি। নিজে গোল করার সঙ্গে সতীর্থকে দিয়েও করিয়েছেন।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে প্রথম গোলটি করার পর একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেন মেসি। লা লিগার ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৩৬টি আলাদা দলের বিপক্ষে গোল করার রেকর্ডে নাম লেখান আর্জেন্টাইন তারকা। টপকে যান রিয়াল মাদ্রিদের রাউল গঞ্জালেস ও অ্যাথলেটিক বিলবাও স্ট্রাইকার আর্তিজ আদুরিজকে। মেসি লা লিগায় প্রথম গোল করেছিলেন ২০০৪ সালে, বার্সার ঘরের মাঠে। শনিবার সেই ন্যু ক্যাম্পেই জিরোনার বিপক্ষে গোল করে রেকর্ডটি গড়লেন।
মেসির রেকর্ডের যাত্রা এখানেই শেষ হয়নি। লি লিগায় সর্বোচ্চ গোল স্কোরার এখন গোল করানোতেও শীর্ষে। এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত অ্যাসিস্টের রেকর্ড ভাগাভাগি করছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক মিডফিল্ডার মিকেলের সঙ্গে, ১৪৭ অ্যাসিস্ট। জিরোনার বিপক্ষে ৫ মিনিটের মাথায় সুয়ারেজকে দিয়ে গোল করিয়ে মিকেলকে টপকে যান মেসি। লা লিগায় এখন তার ‘অ্যাসিস্ট’ সংখ্যাই সর্বোচ্চ।
সেখানেই থামেননি মেসি। গত পাঁচ মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ বিচারে বক্সের বাইরে থেকে গোল করায়ও তিনিই এগিয়ে এখন। জিরোনার বিপক্ষের গোলটি নিয়ে ২৯টি এমন গোল করেছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে মেসির চেয়ে ১০ গোল পিছিয়ে ফিলিপে কৌতিনহো। কৌতিনহোর সমান ১৯ গোল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর।
জিরোনা ম্যাচ শেষে কোচ ভালভার্দে বলেছেন, ‘মেসির কাজ দেখলে মনে হয় কত সহজ। কিন্তু বিষয়টি মোটেও তেমন নয়, কঠিন কাজটাই সে সহজভাবে করে। এরকম পারফরম্যান্স বিচার করাটাও কঠিন।’
মেসির মত রেকর্ড গড়েছে বার্সেলোনাও। জিরোনার বিপক্ষে জয়ে লা লিগায় এ নিয়ে টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত তারা। যে পথে তারা টপকেছে নিজেদের রেকর্ডই, ২০১০-১১ মৌসুমে পেপ গার্দিওলার বার্সার গড়া ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। আর ১৩টি ম্যাচে হার এড়াতে পারলে পুরো মৌসুমেই অপরাজিত থাকার রেকর্ড হবে।
লা লিগায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড সোসিয়েদাদের। ১৯৭৮-৭৯ এবং ১৯৭৯-৮০ মৌসুম মিলিয়ে টানা ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত ছিল সোসিয়েদাদ।