চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কক্সবাজারে ১৪৪ ধারা: অন্য স্থানে বিএনপির সংক্ষিপ্ত সমাবেশ

কক্সবাজারে বিএনপি ও যুবলীগ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি হলেও অন্য স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে বিএনপি।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার শহরের ঈদগাঁও মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন: রাতের আঁধারে ভোট কারচুপি ক্ষমতায় আসায় জনগণের প্রতি সরকারের আস্থা নেই। তাই বিএনপির সাংবিধানিক অধিকারও হরণ করছে তারা।

জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান বলেন: সরকার মানুষের সব গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমাদের পূর্ব নির্ধারিত জনসভাস্থলে যুবলীগের কর্মসূচি দেওয়া তাদের হীন মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

অন্যদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন: ১৪৪ ধারা অমান্য করে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করা বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন: বিএনপির সমাবেশের জন্য কোনো স্থানের অনুমতি নেই। কিন্তু বিএনপি সমাবেশ করার চেষ্টা করছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

জনসভা করতে না পেরে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা থেকে পথসভায় আসার পথে বাধাপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা উপজেলা শহরেও বিক্ষোভ মিছিল করছে।

এর আগে রাতে কক্সবাজার শহরে একই স্থানে বিএনপি ও যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারী করে প্রশাসন। সোমবার ভোর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কক্সবাজার শহরে অবস্থিত বিএনপি অফিস সংলগ্ন শহীদ স্মরণী সড়ক ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারী রয়েছে। ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি রোববার রাতে পুরো শহরে মাইকিং করে জনগণকে জানিয়ে দেওয়া হয়।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কক্সবাজার শহীদ স্মরণী সড়কে আজ সোমবার দুপুর ১টায় এই সমাবেশ ডেকেছিল কক্সবাজার জেলা বিএনপি। পরে একই জায়গায় কক্সবাজার জেলা যুবলীগ পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয়।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম জানান: অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার থেকে পুরো শহরের প্রতিটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ভোর থেকে দায়িত্ব পালন করছে। শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে জেলা পুলিশের।