চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

টানা বৃষ্টিপাত, পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে কক্সবাজারের বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে ।

তৃতীয় দফায় আবারো টানা ৩ দিনের বানের পানিতে জেলার চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

তলিয়ে গেছে মৎস্য ঘের ও কৃষকদের রোপিত আমনের বীজতলা। এতে শত কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে চাষীরা জানিয়েছেন।

এসব ইউনিয়নের বেশিরভাগ বসত ঘর রাস্তা-ঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে । হাজারো মানুষ সড়কের উপর পলিথিনের তাবু টাঙ্গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে । দু’উপজেলার অভ্যন্তরীন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সরকারী ত্রান অপ্রতুল হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন অসংখ্য মানুষ।

বন্যাদূর্গত এলাকার মানুষদের মাঝে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগ। বিশেষ করে শিশুদের অবস্থা একবারে নাজুক । সরকারের কাছে বন্যা দূর্গতরা দু’উপজেলাকে দূর্গত এলাকা ঘোষণার জোর দাবী জানিয়েছেন ।

বন্যা কবলিত ৬৫ বছরের জহুর আলী নামের এক বৃদ্ধ বলেন, এই জীবনে অনেকবার বন্যার কবলে পড়েছি । তা থেকে মুক্তিও মিলেছে। কিন্তু এবারের বন্যার মতো ভয়াবহ বন্যা জীবনে আর দেখিনি। তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে বিপদ থেকে রক্ষার প্রার্থনা জানান।

এদিকে বন্যা দুর্গতদের ঘুরে ঘুরে চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছেন বলে জানান চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুস সালাম। তিনি আরো দু’উপজেলার ২৫ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার জন্য ৩০ টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে । প্রত্যেকটি মেডিকেল টিমের সাথে একজন করে এমবিবিএস চিকিৎসা রয়েছেন । তারা দূর্গত এলাকা পরিদর্শন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ বলেন, পর পর ৩ টি বন্যার কারণে উপজেলার কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । বন্যার পানিতে ডুবেে গেছে আমনের বীজতলা । চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.সাহেদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা এখনো বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে । সমুদ্রের জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে । তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে এই পর্যন্ত ৭০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ।