কক্সবাজারে সরকারি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এতে ২০ জন দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যম জেল জরিমানা করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, বিআরটিএ, ভূমি অফিস ও পাসপোর্ট অফিসে এ অভিযান চালানো হয়।
এরমধ্যে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনের সাথে দালালির মাধ্যমে প্রতারণা করার অভিযোগে মোহাম্মদ ইউনুছকে আটকের ৭ দিনের জেল দেয়া হয়।
এছাড়া বিআরটিএ অফিসে গাড়ির লাইসেন্স আর ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার নামে দালালী করার অভিযোগে শাকের আহম্মেদকে ৩০ দিন, মিশন চন্দ্র নার্থকে ১৫ দিনের জেল দেওয়া হয় এবং রুবেল নামে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় বিআরটিএ অফিসকে দালালদের সাথে যোগাযোগ না রাখতে সর্তক করা হয়।
অন্যদিকে ভূমি অফিসে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা নিতে আসা লোকজনকে হয়রানি করার অভিযোগে শাহ আলম নামে একজনকে ৫ হাজার এবং জসিম উদ্দিন’কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাসপোর্ট অফিসে দালালি করার অভিযোগে চিহ্নিত দালাল সৈয়দ আলম প্রকাশ শিমুলকে ১০ হাজার টাকা এবং মোহাম্মদ জসিমকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাসপোর্ট অফিসের দালাল শিমুল ভূয়া সাংবাদিক হিসেবেও পরিচিত।
এ অভিযানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ম্যাজিস্ট্রেট এবং র্যাবের উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থল ফেলে সরে পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে আসা লোকজনের।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক তানভীর হাসান বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দালালমুক্ত করতে সারা দেশে র্যাব অভিযান চালাচ্ছে তারই অংশ হিসেবে কক্সবাজারও এ অভিযান চলছে। সকাল থেকে ২০-২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বেশ কয়েকজনকে জেল-জরিমানা দেওয়া হয়েছে। বাকীদের সর্তক করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী কক্সবাজারের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবুল মনসুর বলেন, গণ উপদ্রব বন্ধের নির্দেশের পরেও তা অব্যাহত থাকায় এই অভিযান চলছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসব দালালদের সাথে যদি কোন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগাযোগ থাকে তাহলে তা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।