চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কক্সবাজারে কোরবানির পশুর হাট এখনও জমে ওঠেনি

কক্সবাজারে এখনও জমে উঠেনি কোরবানির পশুর হাট। হাটগুলোতে প্রতিদিন গবাদি পশু বাড়লেও ক্রেতা সমাগম কম। যারা আসছেন তারাও শুধু দরদাম দেখে চলে যাচ্ছেন। আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় হতাশ বেপারীরাও।

তবে দু’একদিনের মধ্যে বিক্রি জমজমাট হবে বলে আশা করছেন বিক্রেতা ও ইজারাদাররা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজার শহরের খুরুস্কুল ব্রিজ সংলগ্ন গরু বাজারে ১২টি গরু নিয়ে এসেছেন টেকনাফের ব্যাপারি আজিজুল হক। গত তিন দিনে তার ১২টি গরুর মধ্যে ৪টি বিক্রি হয়েছে মাত্র। বাজারে ক্রেতা না আসায় এখনও বাজার জমে উঠেনি বলে জানান এই গরুর ব্যাপারি।

আজিজুল বলেন: গত চার-পাঁচ বছর ধরে কোরবানির ঈদে এই হাটে গরু নিয়ে আসি। এবারও ১২টি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। বাজার এখনও জমে ওঠেনি। তাই ক্রেতা নেই। যারা বাজারে আসছেন তারা দামদর জিজ্ঞেস করে চলে যাচ্ছেন।

শুধু আজিজুল নয়, তার মতো একই কথা জানিয়েছেন বাজারের অন্য ব্যাপারীরাও। কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া বাজারে দুটি গরু নিয়ে এসেছেন আরেক ব্যাপারী সাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন: দুটি গরু নিয়ে বাজারে এসেছি। এখনও বিক্রি হয়নি। ছয় মাস আগে দুটি গরু কিনেছিলাম আড়াই লাখ টাকায়। এই ছয় মাস লালন-পালন করে বাজারে নিয়ে এসেছি। গরু দুটি লাখ টাকার কম বিক্রি করলে লোকসান হবে বলে জানিয়েছেন এই বিক্রেতা।

তিনি বলেন: আমরা গরুগুলো কোরবানির ঈদের পাঁচ-ছয় মাস আগে কিনে সেগুলো লালন-পালন করি। যেসব ব্যাপারীর কাছ থেকে আমরা গরু কিনি, এবার সেখানেই দাম বেশি। তাই এবার গরুর দাম একটু বেশি হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্র জানায় এবার জেলায় ৪৪টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। এসব বাজারে এখনও বেচাকেনা পুরোদমে শুরু হয়নি।

রামু কলঘর গরু বাজারের ইজারাদার এরফান বলেন: এখনও বাজার জমে ওঠেনি। বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা গরু নিয়ে বাজারে এসেছেন। আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা আর নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করছি শুক্রবার থেকে বেচাকেনা শুরু হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন: জেলার ৪৪টি কোরবানির পশুর হাটে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। জালনোট শনাক্তকরণের মেশিন বসিয়েছে ব্যাংকগুলো। পশুর স্বাস্থ্য নিরীক্ষণে রয়েছে মেডিকেল টিম।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন: পশুর হাটগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। টহল পুলিশের পাশাপাশি বাজারগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকছে। কেউ অনিরাপদ মনে করলে কোরবানির পশু বা টাকাসহ বাড়ি পৌঁছে দেবে পুলিশ।