টানা তিন মাস পর কক্সবাজারে আবারও করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। এবার করোনা হটস্পট মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়ন।
চলতি মাসের প্রথম ৮দিনে এ উপজেলায় ৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। জেলায় গত ৩দিনে ৮৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৬৬ জনই মাতারবাড়ীর।
এর আগে দুই বার জেলার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছিল কক্সবাজার পৌরসভা এবং উখিয়া ও টেকনাফ।
সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান বলেন, গত তিন মাস (অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর) কক্সবাজার ঝুঁকিমুক্ত ছিল। মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। প্রকল্পে দিনরাত কাজ করছেন কয়েক হাজার দেশি-বিদেশি নাগরিক। এখানে কেন করোনা শনাক্তের হার দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে, তা দেখতেই তারা রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শনাক্ত হওয়া ভাইরাস ওমিক্রন কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ল্যাবে ৩৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় ৪০ জনের। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৩৫ জনই মহেশখালীর বাসিন্দা। এর আগের দিন পরীক্ষা হয়েছে ৫৭৫ জনের নমুনা। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় ১৬ জনের । তাঁদের মধ্যে কক্সবাজার সদরের ৩, উখিয়ার ২ ও মহেশখালীর ৮ বাসিন্দা রয়েছেন। অবশিষ্ট ৩ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী।
৬ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হওয়া ২৮ জনের মধ্যে মহেশখালীর বাসিন্দা ছিলেন ২৩ জন।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অনুপম বড়ুয়া বলেন, মাতারবাড়ী প্রকল্পের কারণে অনেকে বিদেশে আসা-যাওয়া করছেন। প্রকল্পের ভেতরে লোকজনও দেশের বিভিন্ন জেলায় যখন ইচ্ছা যাতায়াত করছেন। এসব কারণে সংক্রমণ বাড়ছে কিনা, তার অনুসন্ধান চলছে।
তিনি আরও জানান, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ছে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে যেভাবে পর্যটকের সমাগম ঘটছে, তা সীমিত করা দরকার। সৈকত এলাকায় পর্যটকেদের কারণে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে কক্সবাজার আবার ঝুঁকিতে পড়বে।