কক্সবাজারে লবণ পানিতে আর্টিমিয়া চাষের সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার কক্সবাজারের সী-গাল হোটেলে আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় আর্টিমিয়া চাষি, মৎস্য অধিদপ্তর, বিসিক, বিএফআরআই, শ্যাব, এফএও কনসালটেন্ট, হ্যাচারি কনসালটেন্ট ও প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে “আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্প” বাস্তবায়ন করছে ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ।
কর্মশালায় প্রধান বক্তা আর্টিমিয়া এক্সপার্ট ও বেলজিয়ামের ঘেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. প্যাট্রিক সরগেলুস আর্টিমিয়া চাষের বিভিন্ন সমস্যা এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করে জানান, বাংলাদেশে এই প্রথম লবণ চাষির খামারে উৎপাদিত আর্টিমিয়া বায়োমাস দিয়ে ব্রাইন শ্রিম্প কেবাব তৈরি করা হচ্ছে। চিংড়ির জন্য এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর, মুখরোচক এবং মূল্যসংযোজিত পণ্য হিসেবে বাজারজাত করার সম্ভবনা রয়েছে।
কর্মশালায় মডারেটর ও আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পের টেকনিক্যাল টিম লিডার ড. মীজানুর রহমান জানান, আর্টিমিয়া হল এমন এক ধরনের জলজ ক্ষুদ্র জীব যা অধিক ঘনত্বের লবণ পানিতে চাষ করা হয়। যা সারাবিশ্বের মৎস্য ও চিংড়ি হ্যাচারিতে লার্ভার জীবিত খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশে প্রতি বছর চিংড়ি হ্যাচারিতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রায় ৪০ মেট্রিক টন আর্টিমিয়া আমদানি করা হয়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।