কক্সবাজার জেলার একতাবাজার থেকে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য দুটি প্যাকেজে পূর্ত কাজের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৭৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ২৭তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনলাইন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২টি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি করে মোট ৭টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৪ কোটি ১২ লাখ ৮১ হাজার ৪০৬ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ২৮৭ কোটি ৫৯ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ টাকা এবং জাইকা ও দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণের পরিমাণ ১৮৬ কোটি ৫২ লাখ ৯১ হাজার ৬৫৪ টাকা।
আবু সালেহ মোস্তফা কামাল জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ‘কক্সবাজার জেলার একতাবাজার হতে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের একটি প্যাকেজে পূর্ত কাজের জন্য রানা বিল্ডার্স, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স এবং জামিল ইকবাল প্রতিষ্ঠানকে ১৩৫ কোটি ৯২ লাখ ২৪ হাজার ৮২০ টাকায় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
এ প্যাকেজে পূর্ত কাজগুলো হলো- ১ দশমিক ৯১০৮২৭৩ লাখ ঘনমিটার সড়ক বাঁধে মাটির কাজ, শূন্য দশমিক ৪ কি. মি বাঁক সরলীকরণ, ৬ দশমিক ৫৪ কি. মি. পেভমেন্ট শক্তিশালীকরণ ও প্রশস্তকরণ, ৫ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার পেভমেন্ট শক্তিশালীকরণ, প্রশস্তকরণ ও উঁচুকরণ, শূন্য দশমিক ৭০ কিলোমিটার রিজিভ পেভমেন্ট, আরসিসি বক্স কালভার্ট ৪টি, ইন্টারসেকশন ৩টি, আরসিসি সসার ড্রেন ইত্যাদি নির্মাণ।
একই প্রকল্পের আরেকটি প্যাকেজে পূর্ত কাজের জন্য সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স জামিল ইকবাল এবং হাসান টেকনো বিল্ডার্সকে ১৩৭ কোটি ৯২ লাখ ৫৮ হাজার ৯২৭ টাকায় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
এ প্যাকেজে পূর্ত কাজগুলো হলো- এক দশমিক ৯২৯১৬২৫ লাখ ঘনমিটার সড়ক বাঁধে মাটির কাজ, ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার নতুন পেভমেন্ট, শূন্য দশমিক ৪ কিলোমিটার বাঁক সরলীকরণ, ৫ দশমিক ৪০ কিলোমিটার পেভমেন্ট শক্তিশালীকরণ ও প্রশস্তকরণ, শূন্য দশমিক ৩০ কিলোমিটার রিজিভ পেভমেন্ট, আরসিসি বক্স কালভার্ট ৫টি, আরসিসি ড্রেনেজ সুইস গেট ২টি, ইন্টারসেকশন একটি, আরসিসি সসার ড্রেন, সাইন-সিগন্যাল, গাইড পোস্ট, রোড মার্কিং ইত্যাদি নির্মাণ।