ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের শীর্ষ পদে থাকতে চাইছেন না ঐতিহ্যবাহী গান্ধি পরিবারের কেউই।
অন্তর্বর্তীকালীন কংগ্রেস সভানেত্রীর পদে সোনিয়া গান্ধি আর থাকতে চান না বলে রোববার দলকে এক চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছেন।
এ নিয়েই আজ দলের কার্যকরী কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়।
এনডিটিভি বলছে, এর আগে কংগ্রেসের ২০ জনেরও বেশি প্রবীণ নেতা একটি চিঠি দিয়ে দলের জন্য “পূর্ণ সময়ের সভাপতি” নিয়োগের দাবি জানান। তারপরেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে যে, সোনিয়া গান্ধি (৭৩) এখনি পদত্যাগ করবেন নাকি নতুন সভাপতি সন্ধানের জন্য দলকে একটি সময়সীমা দেবেন। এরপর তড়িঘড়ি করে আজই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটি।
গত শনিবার মোট ২৩ জন শীর্ষ নেতা একজন যোগ্য মুখ চেয়ে চিঠি লেখেন সোনিয়াকে। একটি সূত্র বলছে, এর পরে নাকি ঘনিষ্ঠমহলে পদত্যাগের কথা জানান সোনিয়া ও পাল্টা চিঠি লিখে তার এই ইচ্ছার কথা জানান।
অন্যদিকে রাহুল গান্ধি বলেছেন, তিনি কোনোভাবেই কংগ্রেস সভাপতি পদে ফিরে আসতে চান না, বরং দলের হয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন আরএসএসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই করবেন।
এছাড়া তার মায়ের অসুস্থতার সময় কেন দলীয় নেতারা শীর্ষ পদ নিয়ে চিঠি লিখলেন সে বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাহুল গান্ধি।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন যে, তিনি দলের শীর্ষপদের দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক নন।
এই অবস্থায় দলের নেতৃত্বে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় সাধারণ সদস্যরাও দিকভ্রষ্ট হয়ে পড়ছেন বলে দাবি করা হয়।
কংগ্রেসের সিনিয়র সদস্যদের পক্ষ থেকে চিঠিতে দলের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নিয়ে নির্বাচনেরও আহ্বান জানানো হয়।
গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের পরেই রাহুল গান্ধি দলের শীর্ষ পদ ছাড়েন। তারপরেই ৭৩ বছর বয়সী সোনিয়া সাময়িকভাবে দলের হাল ধরেন। কিন্তু নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার কারণে কিছুদিন ধরেই দায়িত্ব ছাড়ার কথা বলে আসছেন।
দলটির তরুণ নেতারা মনে করছেন, দলের সিদ্ধান্তহীনতার ফলেই জনসমর্থন কমছে। এই অবস্থা থেকে যত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসা যাবে ততই কংগ্রেসের জন্য মঙ্গলদায়ক।