চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ওয়ালটনের ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ফোরজি ফোন বাজারে

দেশে তৈরি সাশ্রয়ী মূল্যের চারটি ফুল-ভিউ ডিসপ্লের ফোরজি ফোন বাজারে ছাড়লো ওয়ালটন। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত এলটিই সুবিধা সম্বলিত এই ফোনগুলো তৈরি হয়েছে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায়।

বাজারে আসা এই চারটি ফোনের মডেল প্রিমো জিএফসেভেন, প্রিমো জিএমথ্রি, প্রিমো আরফাইভ এবং প্রিমো আরএক্সসিক্স।

ঈদ উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের চাহিদা, রুচি, ও ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন দাম ও কনফিগারেশনের এই ফোনগুলো বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। ফোনগুলো দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা, ব্র্যান্ড ও রিটেইল আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে।

ওয়ালটন সেলুল্যার ফোন উৎপাদন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক এস এম রেজওয়ান আলম বলেন: এ বছর দেশে চালু হয়েছে ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সেবা। কিন্তু বাজারে পর্যাপ্ত ফোরজি স্মার্টফোনের যোগান নেই। যা আছে তার বেশিরভাগের মূল্য বেশি। ফলে সব আয়ের মানুষের জন্য ফোরজি সেবা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সবকিছু বিবেচনায় ভিন্ন ভিন্ন আয়ের ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী এই চারটি ফোরজি স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন।

ওয়ালটন সেল্যুলার ফোন বিপণন বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান জানান: নতুন আসা ফোরজি ফোনগুলোর মধ্যে প্রিমো জিএফসেভেনের দাম মাত্র ৫ হাজার ৯৯৯ টাকা। এটি দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের ফুল-ভিউ ডিসপ্লের ফোরজি ফোন। অন্য ফোনগুলোর দাম যথাক্রমে প্রিমো জিএমথ্রি ৭ হাজার ১৯৯ টাকা, প্রিমো আরফাইভ ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং প্রিমো আরএক্সসিক্স ১৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। ডুয়াল সিমের সবগুলো ফোনই অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ ভার্সন ওরিও ৮.১ পরিচালিত।

জিএফসেভেন মডেলে ব্যবহৃত হয়েছে ৫.৩৪ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে। ১.২৫ গিগাহার্জ গতির কোয়াড কোর প্রসেসরসমৃদ্ধ ফোনটিতে রয়েছে ১ জিবি ডিডিআরথ্রি র‌্যাম, ৮ জিবি ইন্টারন্যাল স্টোরেজ এবং মালি-টি৭২০ গ্রাফিক্স। ২ হাজার ৭০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি যুক্ত ফোনটির সামনে ও পেছনে আছে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এটি বাজারে মিলছে নীল ও সোনালি রঙে।

জিএমথ্রি মডেলেও রয়েছে ৫.৩৪ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে। পাওয়ার ভিআর জিই ৮১০০ গ্রাফিক্সসমৃদ্ধ এই ফোনে ব্যবহৃত হয়েছে ১.৩ গিগাহার্জ গতির কোয়াড কোর প্রসেসর, ১ জিবি র‌্যাম, ৮ জিবি স্টোরেজ এবং ৪,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। ফোনটির সামনে ও পেছনে আছে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত যথাক্রমে ৫ ও ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ওটিজি ও ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সরযুক্ত ফোনটি কালো, সোনালি এবং নীল রঙে পাওয়া যাচ্ছে।

প্রিমো আরফাইভ মডেলে ব্যবহৃত হয়েছে ৫.৭২ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে। যারা ভালো মানের ছবি ও ভিডিও চান, তাদের জন্য আদর্শ ফোন এটি। এর পেছনে রয়েছে পিডিএএফ প্রযুক্তির ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা যাতে পোর্টরেইড, টাইম ল্যাপস, সুপার পিক্সেলসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় মোডে ছবি তোলার সুবিধা রয়েছে। এর সামনের ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেলের। এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত উভয় ক্যামেরায় ফুল এইচডি ভিডিও ধারণ করা যাবে। পাওয়ার ভিআর জিই ৮১০০ গ্রাফিক্সসমৃদ্ধ এই ফোনে ব্যবহৃত হয়েছে ১.৩ গিগাহার্জ গতির কোয়াড কোর প্রসেসর, ২ জিবি ডিডিআরথ্রি র‌্যাম, ১৬ জিবি স্টোরেজ এবং ৩,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। ওটিজি সাপোর্টেড ফোনটির সুরক্ষায় রয়েছে ফেস আনলক ও ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সর।  ফোনটি মিলছে ব্ল্যাক অলিভ এবং সোনালি রঙে।

প্রিমো আরএক্সসিক্স হচ্ছে উচ্চ কনফিগারেশনের সাশ্রয়ী মূল্যের সেলফি ফোন। ৫.৭২ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লের ফোনটির সামনে রয়েছে সফট এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। যা দেবে নিখুঁত ও স্পষ্ট সেলফি। পেছনে রয়েছে বিভিন্ন আকর্ষণীয় ফিচারসমৃদ্ধ পিডিএএফ প্রযুক্তির ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।  ফোনটির উচ্চগতি নিশ্চিত করছে আছে ১.৪৫ গিগাহার্জ কোয়াড কোর প্রসেসর, মালি টি৭২০ গ্রাফিক্স এবং ৩ জিবি র‌্যাম। এর ইন্টারন্যাল স্টোরেজ ১৬ জিবি, যা ১২৮ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। ফিংগারপ্রিন্ট ও ওজিটি সমর্থিত ফোনটির পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য রয়েছে ৩ হাজার মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি।

ওয়ালটন জানায়, বাংলাদেশে তৈরি এই স্মার্টফোনগুলোয় ক্রেতারা পাবেন বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। স্মার্টফোন কেনার ৩০ দিনের মধ্যে যেকোনো ধরনের ত্রুটি ধরা পড়লে ফোনটি পাল্টে ক্রেতাকে নতুন আরেকটি ফোন দেয়া হবে। এছাড়াও, ১০১ দিনের মধ্যে প্রায়োরিটি বেসিসে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ক্রেতা বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন। তাছাড়া, স্মার্টফোনে এক বছরের এবং ব্যাটারি ও চার্জারে ছয় মাসের বিক্রয়োত্তর সেবা তো থাকছেই।

উল্লেখ্য, দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা এবং ব্র্যান্ড ও রিটেইল আউটলেটে শূন্য শতাংশ ইন্টারেস্টে ৬ মাসের ইএমআই সুবিধায় কেনা যায় সব মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন। একই সঙ্গে ১২ মাসের কিস্তি সুবিধায়ও থাকছে।