বড় ভাই নুরুল বাশার মালয়েশিয়ায় থাকেন বিগত ছয়বছর যাবত। ভেবেছিলেন ছোট ভাই আব্দুল বাশারও সেই জায়গায় গেলে জীবনের মোড় ঘোরানো সহজ হবে। তাই ছোট ভাইও ধরলেন সেই পথ।
কিন্তু জীবনের মোড় ঘোরানোর স্বপ্নে পা দিলেন দালালের ফাঁদে। ১০ হাজার টাকা দিয়ে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো আব্দুল বাশারকে। সেই উদ্দেশ্যে শাহপার দ্বীপ হয়ে পাড়ি জমানোর কথা ছিলো।
এলাকারই নুরুল আলম, তার ছোট ভাই, নাসির হোসেন, কায়সার আর আব্দুল বাশার মিলে এগোতে লাগলেন দালালদের দেখানো পথ ধরেই। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিলো। মিয়ানমার বর্ডার যাওয়া পর্যন্ত ঠিকঠাক কথাও হয় বাবা-মা ও ভাইয়ের সঙ্গে আব্দুল বাশারের। এরপরই সব অন্ধকার।
ফোনে বড় ভাই নুরুল বাশারকে বলেন, সামনে নেভিগার্ড আসছে, ফোন রাখছি, আড়ালে দাঁড়াতে হবে।
এরপর আর কোনো খোঁজ নেই আব্দুল বাশারের। সেটাও এক বছরেরও বেশ খানিকটা আগের কথা। এর মধ্যে অনেক জায়গায় খোঁজ করেছেন নুরুল বাশার, যোগাযোগ করেছেন বাংলাদেশি দূতাবাসেও, কোনো লাভ হয়নি। যেসব দালালের মাধ্যমে যাওয়ার কথা ছিলো তাদের নম্বরও বন্ধ।
টেকনাফের অলিয়াবাদ গ্রামে বাড়ি আব্দুল বাশার। গ্রামের বাড়িতে বসে ২০ বছরের ছেলেটির প্রত্যাশায় এখনো চোখের জল ফেলেন বৃদ্ধ বাবা-মা।
এরই মধ্যে লিবিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনার খবর দেখে নুরুল বাশার হতবিহ্বল হয়ে ফোন দেন চ্যানেল আই অনলাইনে।
বলেন, আমি ধারণা করছি ওই ডুবে যাওয়া নৌকায় আমার ভাই থাকতে পারে। এই রমজানের আগের রমজানের এক মাস আগে ও বাড়ি থেকে গেছে। ওর কোনো খোঁজ পেলে আমাকে জানাবেন।