ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পর নতুন করে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মহামারী করোনার আরেক ধাপ ওমিক্রন। ইউরোপে পরিস্থিতি বেসামাল। ঘরোয়া আসরসহ আন্তর্জাতিক নানা আসরও পণ্ড হচ্ছে। এরমধ্যেই আসছে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনে বেইজিংয়ে বসতে চলেছে ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম আসর শীতকালীন অলিম্পিক গেমস-২০২২।
শীতকালীন অলিম্পিকের ২৪তম আসরটি ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা। কোন দেশ অংশ নেবে আর কে আসরে আসবে না, সেটি নিয়ে আগ্রহ-জিজ্ঞাসার কমতি নেই। সবার আগে আসছে যে প্রশ্ন, শেষ পর্যন্ত বেইজিং অলিম্পিক হচ্ছে তো?
সোমবার বেইজিংয়ের মেডালস প্লাজায় অলিম্পিক কমিটির সদস্যরা একটি অলিম্পিক বিজয় মহড়ার আয়োজন শেষ করেছেন। যেখানে অলিম্পিক আয়োজনের সামর্থ্যের কথা ফুটে উঠেছে।
আয়োজন সফল করতে নির্দিষ্ট জোন ঠিক করে লকডাউন জারি রেখেছে দেশটির সরকার। আসরে অংশ নেয়া ক্রীড়াবিদ ছাড়া প্রবেশ করতে পারবে না আর কেউই।
ক্রীড়াবিদদের মাস্ক পরে সর্বক্ষণ ভিড় এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। নতুন একজন করোনা পজিটিভ ক্রীড়াবিদ আসর চলাকালে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেন পুরো আয়োজনের। তাই সতর্কতা বেশি। চীনের অলিম্পিক আয়োজকরা আশা করছেন, টোকিও অলিম্পিকের থেকেও অনেকবেশি প্রোটোকল থাকবে এখানে, ফলে ঝুঁকি কমবে।
অলিম্পিক কমিটির প্রধান থমাস বাচ বলেছেন, ‘বেইজিংয়ের সাহস সত্যিই প্রশংসনীয়। সম্ভবত আসরটি সবার জন্য নিরাপদ হতে চলেছে। তবে শেষ কথা কোভিড। কেননা সবকিছুই কোভিড পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।’
আশার কথা শুরুতে ক্রীড়াবিদদের পাঠানো নিয়ে গড়িমসি করলেও শেষ পর্যন্ত ৯০ ক্রীড়াবিদের তালিকা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যারা ২৪তম আসর মাতাতে ব্যাগ গোছাতে শুরু করেছেন।
পাশের দেশ কানাডা যদিও আসর গড়ানো নিয়ে এখনো সন্দিহান। দেশটির অলিম্পিক কমিটির সিইও ডেভিড শোমেকার বলেছেন, ‘আমরা আসর হওয়া নিয়ে সন্দিহান। কেনান ওমিক্রন সারাবিশ্বে চোখ রাঙাচ্ছে। আমরা কোভিড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আশার কথা বেইজিংয়ের সাহস আমাদের আসরটিতে অংশ নিতে অনুপ্রাণিত করছে।’