‘বেআইনী’ নিউক্লিয়ার পরীক্ষা এবং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘটনায় নর্থ কোরিয়ার
বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতাবলে তিনি এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
নতুন প্রণীত নির্বাহী আদেশ অনুসারে, আমেরিকায় থাকা নর্থ কোরিয়া সরকারের সব সম্পত্তি জব্দ করা হবে। এছাড়াও, নর্থ কোরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনো ধরণের রপ্তানি এবং দেশটিতে আমেরিকান বিনিয়োগও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, এই নির্দেশের ফলে আমেরিকান নাগরিক ছাড়াও যে কোনো ব্যক্তিকে নর্থ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার দায়ে কালোতালিকাভুক্ত করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে মার্কিন সরকারকে।
হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র জশ আর্নেস্ট বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহল নর্থ কোরিয়ার নিউক্লিয়ার ও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিয়ে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড সহ্য করবে না। আমরা নর্থ কোরিয়ার ওপর আইনী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতেই থাকবো যতক্ষণ না দেশটি আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মানতে রাজি হয়।’
ওবামা বলেছেন, নতুন আইনের লক্ষ্য ‘নর্থ কোরিয়ার জনগণ নয়’। এর জন্য দেশটির নেতৃত্বই একমাত্র দায়ী।
নর্থ কোরিয়ার নিউক্লিয়ার অস্ত্র গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিষয়ে দেশটির ওপর বার বার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ। এরপরও গত ৬ জানুয়ারি নিউক্লিয়ার মিসাইল পরীক্ষা করে দেশটি। যার ফলে নর্থ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারিতে বিশেষ আইন প্রণয়ন করে যুক্তরাষ্ট্র।
এর জবাবে ক্ষিপ্ত হয়ে নর্থ কোরিয়া গত ৭ ফেব্রুয়ারি রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে। তাই সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ নতুন একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যা নর্থ কোরিয়ার বিরুদ্ধে গত কয়েক দশকে আরোপিত সবচেয়ে কঠোর আইন।
প্রেসিডেন্ট ওবামার জারি করা নতুন আইনে যুক্তরাষ্ট্রের আগের নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও জাতিসংঘের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার ধারাগুলো যোগ করা হয়েছে।