নিজে লাভবান হওয়ার জন্য নয় বরং সমাজকে আলোকিত করার জন্য ব্যাংক থেকে নেয়া লোনের অর্থ দিয়ে পরিচালিত হয় ঢাকার কাছের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়। নিন্ম আয়ের পরিবারের সন্তানরা খুব কম বেতনে, আবার কেউ কেউ অর্থ খরচ ছাড়াই লেখাপড়া করে এখানে।
আশুলিয়ার ঢাকা ইপিজেড থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মাস্টার খন্দকার এম এ বাসেদ ইনস্টিটিউশন। বাবার নামে স্কুলটি করেছেন স্বপ্নচারী এক মানুষ খন্দকার মোহাম্মদ শাহজাহান। ইচ্ছে একটাই সমাজকে পরিবর্তন করা আর সবার কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেয়া।
সেই উদ্দেশ্য থেকেই নিজের ১৫ কাঠা জমিতে স্কুল প্রতিষ্ঠা। স্কুলের চারপাশে শ্রমজীবী আর দিনমজুরদের বাস। অর্থ খরচ করে সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে চান না তারা। এর ওপর ভবন নির্মাণে অর্থ ছাড়াও প্রতি শিক্ষকদের বেতন তো আছেই। শিক্ষকরা বলেছেন, ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে প্রতিষ্ঠাতাই স্কুল পরিচালনা করছেন।
মাস্টার খন্দকার এম এ বাসেদ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক খন্দকার আবুল কাইয়ুম বলেন, স্কুল পরিচালনা করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। ব্যাংক থেকে কিছু ঋণ নিয়েই স্কুলটি পরিচালনা করা হয়।
এ স্কুলের শিক্ষক জেসমিন ইমলাম রুমী বলেন, আধুনিক শিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষিত গড়ে তোলার জন্য এই স্কুলের মালিক অনেক চেষ্টা করছেন। নিজের সম্পদ বিক্রি করে স্কুলটি পরিচালনা করেন তিনি।
আরেক শিক্ষক ইশরাত জাহান ইতি বলেন, বইটা তো সরকার দিচ্ছে কিন্তু বিস্কুটের একটি খাত আছে সেখান থেকে অন্য স্কুল পেলেও এই স্কুলটি পাচ্ছে না।
শাহজাহানের প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি এরই মধ্যে সুনাম ছড়িয়েছে আশপাশে। ফলাফলও বেশ ভালো।
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা বলছেন, আমাদের স্কুলটা খুব ভালো, পড়াশুনাও ভালো। স্যারের প্রচেষ্টার মাধ্যমে স্কুলটি এখানে এসেছে। বর্তমানে স্কুলটিতে লেখাপড়া করছে দেড়শ’ শিক্ষার্থী।