অলৌকিক কিছু কিংবা প্রকৃতি সহায় না হলে মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় হারই হয়তো পরিণতি বাংলাদেশের। চট্টগ্রাম টেস্টের এখনো একদিন বাকি, হাতে মাত্র চার উইকেট। এই অবস্থায় আরও ২৬২ করে সাকিবরা জিতে যাবেন বা ম্যাচ বাঁচিয়ে ফেলবেন এমন আশা জারি রাখা ম্যাচের মতোই কঠিন! বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানও তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় সমালোচনা করেছেন ক্রিকেটারদের।
রোববার চট্টগ্রাম টেস্ট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নাজমুল হাসানের ভাষ্য, ‘এটা টেস্ট! দেখে মনে হয় না বাংলাদেশ। এটা খুবই দুঃখজনক। খুবই খারাপ। নিশ্চয়ই কোনো পরিকল্পনা ছিল। সেখানে কোনো ঘাটতি থাকার কথা না। কিন্তু যে পরিকল্পনা ছিল সেটা ঠিক ছিল না।’
‘এখন আমরা কী করতে পারি? ওদেরকে কী এখন বোঝাতে হবে কীভাবে টেস্ট খেলতে হয়? ওরা হল অভিজ্ঞ ক্রিকেটার!’
নিজেদের মাটিতে নবীন আফগানদের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পেছনে খেলোয়াড়দের মানসিকতাকেই দায়ী করছেন বোর্ড প্রধান। ফ্ল্যাট উইকেট নিয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে যেভাবে সমালোচনা করেছিলেন অধিনায়ক সাকিব, বিসিবি সভাপতি বললেন তার উল্টোটাই।
‘আমার মনে হয় ওরা মানসিকভাবে কী চিন্তা করছে, কী পরিকল্পনা করছে সেখানে একটা গলদ আছে। এরকম করে টেস্ট খেলার কথা না। আফগানিস্তান যদি ৩৭০ করে বাংলাদেশের যে দল তাতে ৫০০ না করার কোনো কথা না। উইকেট ছিল পুরোপুরি ফ্ল্যাট।’
খেলোয়াড়দের হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখে বড় রকমের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন নাজমুল হাসান। এর ফলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দলের চেহারা আমূল পাল্টে যাবে বলেও বিশ্বাস তার, ‘এখন যে দলটা দেখছেন, এটা অন্তত সাময়িক। সামনে যেহেতু বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আমরা চিন্তা করছি, তাই একটু এদিক-সেদিক হতে পারে। কিন্তু এটা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। এটা মাত্র ৩-৬ মাসের ব্যাপার। আমি বিশ্বাস করি এরমধ্যেই বাংলাদেশ আবারো অত্যন্ত শক্তিশালী একটা দলে পরিণত হবে।’
বিপিএলের সময়সূচি নিয়েও কথা বলেছেন বোর্ড প্রধান। জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়েই শুরু হবে বিপিএলের সপ্তম আসর। এসময় তার পাশে ছিলেন বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।