সৌদি আরবে শিয়া নেতা শেখ নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হ্ওয়ার পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, এ জন্য সৌদি আরবকে ‘ঐশ্বরিক প্রতিশোধের’ সম্মুখীন হতে হবে। এর মধ্যে দিয়ে সোদি কর্তৃপক্ষ অন্যায় ভাবে একজন ‘শহীদের রক্ত ঝরিয়েছে’। এই ঘটনা সৌদি রাজপরিবারের ধ্বংস ডেকে আনবে বলেও মন্তব্য করেন খামেনি।
আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর ইরানে বিক্ষোভকারীরা তেহরানের সৌদি দূতাবাসে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় কয়েজজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।
ইরান ছাড়া সৌদি আরব, বাহরাইন, লেবানন ও ইরাকের শিয়া মুসলিমদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ড এ ঘটনার ‘কঠোর প্রতিশোধ’ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় গভীল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ওই অঞ্চলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা উত্তেজনা কমিয়ে আনতে তাদের প্রয়াস দ্বিগুণ করেন।
পররাষ্ট্র দফতর বলছে, এটা এমন এক সময় যখন উত্তেজনা কমানো দরকার- তবে এই মৃত্যুদন্ড কার্যকর করাটা সম্প্রদায়গত উত্তেজনা বাড়িয়ে দে্ওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভিন্নমত প্রকাশ করতে দেওয়ার জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান আহ্বান জানিয়েছে।
শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও। তিনি বলেছেন, এ ঘটনা তাকে মর্মাহত করেছে এবং তিনি শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড। তিনি বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব প্রমাণ করেছে তারা আইএসের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।
সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে শেখ নিমরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও, তার সমর্থকেরা মনে করেন, সৌদি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে সমালোচনার কারণেই তাকে প্রাণদণ্ড দেয়া হয়েছে।