জাতীয় নির্বাচনের আগে কোন্দল ভুলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার বার্তা দিতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সাংগঠনিক সফরের অংশ হিসেবে তৃতীয় পর্যায়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে এসব কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ সফরে সরকারের বিপুল উন্নয়ন ও অর্জনের বার্তাগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিবো। আমরা নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার ব্যাপারে কথা বলবো। দলীয় কোন্দল মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলবো।
দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখছে দাবি করে দলের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন: আমাদের বিশ্বাস আছে। সেই সঙ্গে গত ১০ বছরে অর্জিত উন্নয়ন ও অর্জন এবং জনগণের ওপর যে আস্থা তাতে করে জয় আমাদের নিশ্চিত।
‘পাশাপাশি আইআরআইয়ের যে সমীক্ষা, জনমত জরিপ তাতে দেখা গেছে আমাদের নেত্রীর জনপ্রিয়তা ৬৬ শতাংশ। আর দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ৬৪ শতাংশ। এটিই বাংলাদেশের ছবি, এটিই জনমতের ছবি। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নৌকা ভাসতে-ভাসতে ডিসেম্বরে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে।’
কাদের নেতৃত্বে যখন কক্সবাজারের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল; ঠিক তখনই রাজধানীর গুলিস্থানস্থ নাট্যমঞ্চে যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায়’ অংশ নিতে যাচ্ছে বিএনপি।
এই অবস্থায় এমন সাংগঠনিক সফর কতটা সহজ- এ প্রশ্নের জবাবে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এ নেতা বলেন, আমরা যাচ্ছি চট্টগ্রাম। তারা সভা করবে ঢাকায়। সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা তো দেখিনা। সমস্যার তো কোনো কারণ…।’
এসময় সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। অনুমতি নিয়ে তারা যেকোন সময় মিটিং করতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারের সামান্যতম বাধা থাকার কোনো কারণ নেই। কাজেই তারা তাদের সভা করবে। আমাদের অসুবিধাটা কোথায়! তারা তাদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সভা করবে। এরমধ্যে সহিংসতার কোন উপাদান যদি যুক্ত হয়, উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।
সফর প্রসঙ্গে কাদের বলেন: নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট থেকে যাত্রা শুরুর পর ট্রেনযাত্রা করেছি। নীলফামারী পর্যন্ত। টাঙ্গাইল থেকে শুরু করে সর্বশেষ আমরা রাত ১১ টায় নীলফামারীতে সভা করেছি। এখন আমরা সড়ক পথে যাচ্ছি।
‘আজ আমরা চট্টগ্রাম পৌঁছাবো ইনশাল্লাহ্। আর পথে পথে নির্ধারিত সভাগুলোতে অংশ নেবো। প্রথম আমরা পথসভা করবো ইলিয়টগঞ্জে। এরপর কুমিল্লা টাউন হল হয়ে চৌদ্দগ্রাম, সর্বশেষ ফেনী টাউন হলের পথসভায় অংশ নেবো। রাতে আমরা চট্টগ্রাম পৌঁছাবো।
পরের দিন রোববার সকাল ৯টায় আমরা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাবো। যাত্রাপথে প্রথম সভা করবো।প্রথমে কর্ণফুলীতে। এরপর লোহাগড়ায় সমাবেশ করবো। সবশেষে চকোরিয়ার সমাবেত হয়ে কক্সবাজার ঈদগাহ মাঠে সমাপনী জনসভায় অংশ নেবো। এই আমাদের এবারের যাত্রা।’