খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতা নিয়ে আলোচনার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) দেয়া আনুষ্ঠানিক মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান ডেভিড পিভের।
ইএসপিএন-ক্রিকইনফোর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া বোর্ডের কাছে একটি চিঠি দিয়েছিলেন এসিএ প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ডায়ার। ওই চিঠিকে ‘অসাধারণ’ বললেও প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন পিভের। মধ্যস্থতার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সংকট আরও বাড়বে।
পিভের বলেছেন, সিএ’র বর্তমান অফারের উপর ভিত্তি করে প্রথমে আলোচনা না করেই খেলোয়াড় সমিতি মধ্যস্থতার অনুরোধ করেছে। সিএ’র কাছে পাঠানো চিঠিতে পূর্বশর্ত রাখাটা অগ্রহণযোগ্য বলেও মন্তব্য তার।
পিভের প্রত্যাখ্যান ক্রিকেটারদের কাছে পাঠানো বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ডের চিঠির হুমকির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ওই চিঠিতে সাদারল্যান্ড বলেছিলেন, চুক্তিতে সই না করলে বর্তমান চুক্তি শেষ হওয়ার পর বেতন দেয়া হবে না ক্রিকেটারদের।
সাদারল্যান্ডের হুমকির পাল্টা হুমকি দিয়েছেন ক্রিকেটাররাও, প্রয়োজনে অ্যাশেজ বর্জনের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তারা।
পিভের জানান, গত সপ্তাহে জেমস সাদারল্যান্ডের চিঠিতে বলা হয়েছে, আলোচনার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই এসিএর কিছু নির্দিষ্ট পূর্বনির্ধারিত দাবি পূরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে আমি নিশ্চিত এটি নিয়ে আরও বেশি গঠনমূলক আলোচনা করতে হবে।
পিভের ভাষায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব যথাযথ নয়, তবে খেলোয়াড়দের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা সত্ত্বেও বলছি বর্তমান মাপকাঠি ভাঙা প্রয়োজন এবং এমন একটি প্রক্রিয়ায় কাজ করা উচিত যা অবশেষে ভাল বিশ্বাসযোগ্য আলোচনা শুরু করবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা দ্রুত এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের দ্বন্দ্ব শুরু হয় বেতন-ভাতা নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা বেতনের বাইরেও বোর্ডের রাজস্বের একটা অংশ পেয়ে থাকেন। গত প্রায় ২০ বছর ধরেই চলে আসছে এই ধারা। নতুন প্রস্তাবিত চুক্তিতে সেটিতে বদল আনা হয়েছে। শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররাই বাড়তি রাজস্বের ভাগ পাবে। এরপর থেকেই শুরু হয় দ্বন্দ্ব।