এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে প্রথম হয়েছে একে হাইস্কুলের ফাহমিদা বানু। আর দ্বিতীয় উদয়ন স্কুলের সাদমান আবরার খান।
গাইড বই নয় বরং বোর্ডের পাঠ্য বই এবং কোচিংয়ের চেয়ে স্কুলের লেখাপড়ার ওপরই বেশি নির্ভরশীল ছিল এ দু’ই শিক্ষার্থী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার পর, মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের এই মেধা তালিকা পাওয়া গেছে।
২০০১ সাল থেকে এসএসসি আর ২০০৩ থেকে এইসএসসি পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতির প্রচলন হয়। ওই বছর থেকেই বোর্ডের মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া শীর্ষ ২০ শিক্ষার্থীর তালিকা বন্ধ হয়ে যায়।
প্রথম কয়েক বছর জিপিএ -৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশ কম হলেও কয়েক বছরের মধ্যেই তা লাখ ছাড়িয়ে যায়। জিপিএ- ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা সবাই সেরা। তবে সেরাদের সেরার তালিকা কখনো প্রকাশ করেনি মন্ত্রণালয়।
তবে চ্যানেল আইয়ের পক্ষ থেকে গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বোর্ডে দফায় দফায় আবেদন করেও বোর্ডের শীর্ষ মেধাবীদের নাম জানা যায়নি।
এ বছর আবারও আবেদন করলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চ্যানেল আইয়ের কাছে শীর্ষ ৬ জনের তালিকা প্রকাশ করে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ৫ লাখ ৩০ হাজার চারশ’ ২২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম হয়েছে শ্যামপুরের একে হাই স্কুলের ফাহমিদা বানু। ১৩শ’ নম্বরের মধ্যে সে ১২শ’ ৫৪ নম্বর পেয়েছে।
আর উদয়ন বিদ্যালয়ের সাদমান আবরার খান হয়েছে দ্বিতীয়। সে পেয়েছে ১২শ’ ৪৬ নম্বর।
প্রথম হওয়া ফাহমিদা চিকিৎসক হতে চায়। আর সাদমানের ইচ্ছে প্রকৌশলী হওয়া। দুজনই মনে করে, বোর্ডগুলোর শীর্ষ মেধাবীদের তালিকা প্রকাশ করা উচিত।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্ট: