টাঙ্গাইল মডেল থানার এক নারী এসআইয়ের চাঁদাবাজি ও হয়রানির বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করে ঘণ্টাব্যাপি থানা ঘেরাও করেছে সদর উপজেলার বেলতা গ্রামের কয়েক শতাধিক মানুষ।
পরে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
জানা যায়, কিছুদিন আগে সদরের বেলতা গ্রামে একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব পায় টাঙ্গাইল মডেল থানার এসআই জেসমিন। তদন্ত কর্মকতার সোর্স উপজেলার পোড়াবাড়ি ইউনিয়নের কাবিলাপাড়ার ইসমাইল হোসেনের ছেলে বক্কর আলীর মাধ্যমে গ্রামবাসীর কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে।
এর ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেলে ওই সোর্স বেলতা গ্রামে গিয়ে আবারও মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করলে গ্রামবাসী তাকে আটক করে। সোর্সের আটকের খবর পেয়ে এসআই জেসমিন তাকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসী তাকেও আটকে রাখে।
খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ গেলে রাস্তায় গাছ ফেলে গাড়িসহ প্রায় আধা ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখে গ্রামবাসী। পরে কৌশলে পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সন্ধ্যার পর গ্রামবাসী একত্র হয়ে জেসমিন ও সোর্সের শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে।
বেলতা গ্রামের বাসিন্দা হারেজ আলী, সুফিয়া বেগম, হাজী আয়নাল হক,আয়নাল হকের স্ত্রী জাহানারা বেগমসহ স্থানীয়রা জানান, গত একমাসে প্রায় ২৫জন লোকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে এবং চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন এসআই জেসমিন।
এ বিষয়ে এসআই জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পালন করেছি। আমার নামে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউর রহমান রেজা বলেন, গ্রামবাসী অভিযোগ দিতে এসেছিল। তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।