জামিনের জন্য সহায়তা চেয়ে ফোন করার পরই এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রবীর সিকদারের জামিনের ব্যবস্থা করেছেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবীর দাবি নাকচ করেছেন প্রবীর সিকদারের স্ত্রী অনিতা সিকদার। তিনি জানান, তিনি কোনো মন্ত্রীকে বা অন্য কাউকে জামিনের জন্য ফোন করেননি।
চ্যানেল আই অনলাইনকে অনিতা সিকদার বলেন: আমার ফোন থেকে আমি কাউকে ফোন দেইনি।
‘বুধবার সকালে কেউ একজন আমাকে একটি ফোন ধরিয়ে দিয়ে বলেন, কথা বলেন। ফোনের এই পাশ বা ওই পাশ কোনো দিক থেকেই কারো পরিচয় দেয়া হয়নি। ওই পাশে এলজিআরডি মন্ত্রী ছিলেন কিনা তাও আমি নিশ্চিত নই। গত তিনদিনে যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের সবাইকে যেমন ধন্যবাদ জানিয়েছি, এই ফোনেও আমি সেভাবেই বলেছি, আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। দোয়া করবেন। আর কোনো কথা হয়নি,’ এভাবেই ফোন নিয়ে কিতর্কে তার অবস্থান পরিস্কার করেন অনিতা সিকদার।
অনিতা সিকদার বলেন, ‘মন্ত্রীর কাছ থেকে আমি কোনো ফোন পাইনি। আমিও আমার ফোন থেকে তাকে ফোন দেইনি। আর আমি নিশ্চিত নই অন্য একজনের ফোনে যিনি আমার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি এলজিআরডি মন্ত্রী কিনা।’
প্রবীর সিকদারের জামিনের পর বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনিমেষ রায় বলেন, ‘আমাদের মাননীয় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন যার বিষয়ে স্ট্যাটাস দেয়া নিয়ে এই মামলার উদ্ভব হয়। প্রবীর সিকদারের স্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে ফোনে তার (খন্দকার মোশাররফ) সাথে কথা বলেন এবং অনুরোধ করেন। মন্ত্রী আমাদের বলেছেন, উনি সাংবাদিক এবং শহীদ পরিবারের সন্তান। এছাড়া উনি যেহেতু ভুল স্বীকার করেছেন তাই আইনগতভাবে যেটুকু দরকার তাকে সেটুকু সাহায্য করতে পারেন কিনা। শহীদ পরিবারের সন্তান হিসাবে মামলার বাদী সহ আমরা কেউ আজ জামিনের বিরোধিতা করি নাই।’