মাত্র ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল সাউথ আফ্রিকা, ৬৪ রানে ৪টি। চোখ রাঙাচ্ছিল ফলোঅন। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রোটিয়ারা। ডিন এলগার ও কুইন্টন ডি ককের জোড়া সেঞ্চুরিতে কথা বলেছে ভারতের চোখে চোখ রেখে।
বিশাখাপত্তম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫০২ রান তুলে ইনিংস ছেড়েছিল ভারত। জবাবে ১১৭ রান দূরে আছে সাউথ আফ্রিকা। ৮ উইকেটে ৩৮৫ রান তুলে শেষ করেছে তৃতীয় দিন।
হাতে ৭ উইকেট নিয়ে ৩৯ রানে নতুন দিন শুরু করা সাউথ আফ্রিকা প্রথম সেশনের মধ্যভাগে হারায় ১৮ রান করা টেম্বা বাভুমাকে। ফলোঅন এড়াতে তখনো প্রয়োজন ২৩৮ রান।
ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নেমে চাপ কিছুটা কমিয়ে আনেন অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস। ডিন এলগারের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে তোলেন ১১৫ রান।
তবে ৫৫ রান তোলার পর রবিচন্দ্র অশ্বিনের বলে পূজারাকে ক্যাচ দিয়ে ডু প্লেসিস সাজঘরে ফিরলে ফের চাপে পড়ে সফরকারীরা। দলের রান তখন ১৭৮। ফলোঅন এড়াতে তখনো প্রয়োজন ১২৪। শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে এলগারের সঙ্গে ক্রিজে নতুন ডি ককই শেষ ভরসা।
চাপের মুখে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরে লড়াকু ইনিংস খেলেছেন এলগার-ডি কক। ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছেন ১৬৪ রানের জুটি। দুজনের ১০০ রান এসেছে ১৫৬ বলে।
ডি কক ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করলেও ধৈর্যশীল এক ইনিংস খেলেছেন এলগার। নিজের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ১৭৫ বলে খেলে। অন্যদিকে ডি কক সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১৪৯ বলে।
শেষ বিকেলে এসে সেই জুটি ভাঙেন রবীন্দ্র জাদেজা। ক্যাচে এলগারকে ফেরান পূজারা। ২৮৭ বলে ১৬০ রানে থামে প্রোটিয়া ওপেনারের ১৬০ রানের ইনিংসটি। ১৮ চারের সঙ্গে ইনিংসে ছিল ৪ ছক্কার মার।
এলগার ফেরার পর আরও ২ উইকেট হারায় আফ্রিকানরা। যার মধ্যে আছে ডি ককের উইকেটও। ১৬৩ বলে ১৬ চার ও ২ ছক্কায় ১১১ রান তোলার পর অশ্বিনের বলে বোল্ড হন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
ভারতের সেরা বোলার অশ্বিন। ১২৮ রান খরচায় ক্যারিয়ারে ২৬তম বারের মতো পেয়েছেন ৫ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা।