প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সংসদ সদস্যপদ বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো নোটিসকে ‘পাগলামী’ বলে মন্তব্য করেছেন এরশাদের প্রেস সচিব সুনীল শুভ রায়।
চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন,‘এখনো নির্বাচন কমিশন থেকে ওই নোটিসের বিষয়ে আমাদের সাথে কোনোরকম যোগাযোগ করা হয়নি। ১৬ কোটি মানুষের দেশে পাগল-উন্মাদ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়, তাদের কেউ আবার হয়তো আলোচনায় আসতে চায় এসব করে’।
তিনি আরও বলেন, ‘নোটিসের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আমাদের এখনো কিছু জানায়নি। জানালে এব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়া হবে’।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত পদকে ‘লাভজনক’ পদ অভিহিত করে এ পদে থাকায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সংসদ সদস্য পদ বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে উকিল নোটিস পাঠান কল্যাণ পার্টির আইন বিষয়ক সম্পাদক মুবিনুল হক।
সোমবার পাঠানো এই নোটিসে কল্যাণ পার্টির আইন বিষয়ক সম্পাদক ভাষ্য “প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত পদটি লাভজনক। সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে লাভজনক পদে থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ সংসদ সদস্য পদে থাকবার যোগ্যতা হারিয়েছেন।”
নোটিসটি আমলে নেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ,এ বিষয়ে কমিশনের কিছুই করার নেই। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদটি লাভজনক কি না তা আদালতে নির্ধারিত হতে হবে। লাভজনক পদের সংজ্ঞাও আইনে নির্ধারিত রয়েছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে অনেক নাটকীয়কতার মধ্যে সিএমএইচে থাকা অবস্থায় রংপুর-১ আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ।মনোনয়নপত্র দাখিলের পর এক পর্যায়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেও বিজয়ী হয়ে তিনি সাংসদ হিসেবে শপথ নেন এবং মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব পান।