আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। ৫৮টি দল নিয়ে গঠিত নতুন এ জোটের নাম দেয়া হয়েছে ‘সম্মিলিত জাতীয় জোট’।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জোটের ঘোষণা দেন গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
এরশাদ বলেন, জোটের প্রথম পর্যায়ে ২টি নিবন্ধিত দল এবং ২টি জোট এই মোট ৪টি শরীক নিয়ে আমরা বৃহত্তর একটি জোট গঠন করেছি। এছাড়া আরও ২টি নিবন্ধিত দলের সঙ্গে আমাদের কয়েক দফা বৈঠক চলছে।
“জাতীয় পার্টির নীতি ও আদর্শের সঙ্গে যারা ঐক্যমত পোষণ করবে তাদের জন্যেও আমাদের জোটের দরজা খোলা থাকবে। দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানের স্বার্থে বৃহত্তর ঐক্যের এখন আর কোনো বিকল্প নেই”।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সম্মিলিত জাতীয় জোটে যারা নিবন্ধিত রয়েছে তারা সরাসরি জাতীয় পার্টির সঙ্গে কাজ করবে। নিবন্ধিতহীনরা নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
জাতীয় জোটের সকল নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, এই জোটে নির্বাচনী ফলাফল সবাইকে মেনে নিতে হবে। নীতিমালা লঙ্ঘন ছাড়া ব্যক্তিগত স্বার্থে জোট ছেড়ে যাওয়া যাবে না বলেও আগাম হুঁশিয়ারী দিয়েছেন তিনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে থাকা না থাকার বিষয়ে নিজাতীয় পার্টি চেয়্যারম্যান বলেন, ১৪ দলে জাতীয় পার্টি একসময় মহাজোট গঠন করেছিলো। আমরা মহাজোটে ছিলাম। কিন্তু এখন আর মহাজোটে নেই।
“গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করেছে। বর্তমানে সংসদে জাতীয় পার্টি বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করছে। তবে রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই, ভবিষ্যতে রাজনীতিতে কি হবে তা বলা এখন মুশকিল। রাজনীতিতে অনেক কিছু ঘটতে পারে।”
ভবিষ্যতে মহাজোটে থাকার ব্যাপারে নতুন এ জোটই সিদ্ধান্ত নিবেন বলেও জানান এরশাদ।
জানা গেছে, ‘সম্মিলিত জাতীয় জোটে’ নিবন্ধিত জাতীয় ইসলামী মহাজোটের ৩৫টি দল আর বাংলাদেশ জাতীয় জোটের (বিএনএ) ২১টি দল থাকছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টও থাকবে এই জোটে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জোটে শরীক দল ও শরীক জোটের মহাসচিবরা নিজ নিজ দল বা জোটের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আর নতুন জোটের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহল আমিন হাওলাদার।