তুরস্কে ১৫ জুলাইয়ের সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার পর ঘোষিত তিন মাসের জরুরি অবস্থায় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও তার সরকারের ক্ষমতা অন্যান্য সময়ের চেয়ে আরও বেশি থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সরকার অভ্যুত্থানে জড়িত সন্দেহে আটক সেনাদের আরও বেশি সময় আটকে রাখতে পারবে।
এমনকি পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়াই নতুন আইনও জারি করতে পারবে সরকার।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের সংসদে ৩৪৬ ভোট পেয়ে জরুরি অবস্থা অনুমোদন পায়। বিপক্ষে ভোট পড়ে ১১৫টি। এর মধ্য দিয়ে এরদোগান আরও নতুন ক্ষমতা পেলেন।
আগে থেকেই এরদোগানের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা চালানোর অভিযোগ ছিল। জরুরি অবস্থা জারির আগেই তার সরকার অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গণগ্রেফতার ও সরকারি কর্মকর্তাদের গণছাঁটাই চালিয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে কয়েকশ’ স্কুল। এখন এই জরুরি অবস্থা ও বিশেষ আইনকে দেশটির গণতন্ত্রের জন্য আরও বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের দাবি, জরুরি অবস্থা তুরস্কের গণতন্ত্রের ওপর আসা হুমকির বিরুদ্ধে লড়বে।
জরুরি অবস্থা সম্পর্কে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, ‘এই জরুরি অবস্থা জনগণের ওপর নয়, নিজের ওপরই আরোপ করেছে রাষ্ট্র। আমরা একে একে রাষ্ট্র থেকে (যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের সমর্থকদের) নিশ্চিহ্ন করব এবং যারা দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে তাদের শেষ করব।’
৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছে সরকার, জানিয়েছেন ইলদিরিমের সহকারি নুমান কুরতালমাস।