নিজে করলেন জোড়া গোল, সতীর্থ পেরেইরাকে দেখালেন জালের দেখা— সেন্ট এতিয়েনের বিপক্ষে রাতটা নিজের করে নিলেন কাইলিয়ান এমবাপে। ফরাসি বিশ্বকাপজয়ীর নৈপুণ্যে নঁতের বিপক্ষে হারের হতাশা ভুলে জয়ে ফিরল পিএসজি।
প্যারিসের পার্ক ডি প্রিন্সেসে শনিবার লিগ ওয়ানের ম্যাচটি ৩-১ গোল ব্যবধানে জিতেছে মাউরিসিও পচেত্তিনোর দল। দারুণ জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে দ্বিতীয় দলের সঙ্গে ব্যবধান ১৬ পয়েন্টে নিয়ে গেছে মেসি-নেইমার-এমবাপেদের দল।
গত রাউন্ডে নঁতের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানেই হেরেছিল পিএসজি। এবার টেবিলের নিচের দিকে থাকা সেন্ট এতিয়েনকে দিল একই স্বাদ। শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর পাঁচ মিনিটের মাঝে জোড়া গোল করেন এমবাপে। গোল শোধ এবং লিড আনার ক্ষেত্রে বল বানিয়ে বড় অবদান রাখেন মেসি। পাঁচ মিনিট পর জোড়া গোল করা এমবাপের অ্যাসিস্টে লিড বাড়িয়ে নেন ডানিলো পেরেইরা।
শক্তিমত্তার বিচারে এগিয়ে থাকা পিএসজি বল দখল, আক্রমণ থেকে শুরু করে গোলে শটে দাপট দেখিয়েছে। সেন্ট এতিয়েনও প্যারিসের ক্লাবটির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোন্নারুমার ভালোই পরিক্ষা নিয়েছে। ৬২ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৪টি শটের আটটি লক্ষ্যে রাখে পিএসজি। সফরকারী সেন্ট এতিয়েন নয়টি শটের ছয়টি রাখে লক্ষ্যে।
ম্যাচের সাত মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। নেইমারের ভলিতে বল জালের নাগাল না পেলে সেবার হতাশায় থাকতে হয়। ১২ মিনিটে সফরকারী দলের ইউসুফের শট ফিরিয়ে দেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক ডোন্নারুমা। তবে ষোলো মিনিটে কাজটা ঠিকঠাক করতে পারেননি পিএসজি গোলরক্ষক। সেন্ট এতিয়েনকে শুরুতেই এগিয়ে নেন ডেনিস বুয়াঙ্গা।
২৮ মিনিটে বুয়াঙ্গার আরেকটি শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান ডোন্নারুমা। প্রথমার্ধ্বের শেষ সময়ে সমতায় ফেরে পিএসজি। স্বাগতিকদের হয়ে মেসির বাড়ানো বলে পাওয়া গোলটি কাইলিয়ান এমবাপের ১৫৬তম গোল, যা ক্লাবটির ইতিহাসের যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
বিরতির পরের দশ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন এমবাপে-পেরেইরা। ৪৭ মিনিটে মেসির অ্যাসিস্টে দ্বিতীয় গোল পান এমবাপে। পরের চার মিনিটে পেরেইরাকে সাহায্য করেন গোল করতে। এমবাপের দারুণ এক ক্রস থেকে হেডে বল জালে জড়ান পেরেইরা। পরের প্রায় ৪৩ মিনিটের খেলায় আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ হলেও জালের দেখা পায়নি কেউই।
দারুণ এ জয়ে টেবিলে ২৬ ম্যাচে ১৯ জয় নিয়ে শীর্ষ পোক্ত করল পিএসজি (৬২)। প্রতিপক্ষ সেন্ট এতিয়েন সমান ম্যাচ খেলে ২২ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বরে। টেবিলের দুইয়ে নিসের পয়েন্ট ৪৬।