স্কুল ছাত্রকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার অপরাধে এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে গাইবান্ধা। প্রতিদিনই চলছে মানববন্ধন প্রতিবাদ মিছিলসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি।
শুক্রবার ভোরে মাতাল অবস্থায় নিজ গাড়িতে করে বামনডাঙ্গা থেকে সুন্দরগঞ্জ আসার পথে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শাহাদাত হোসেন সৌরভকে দুই পায়ে গুলি করে এমপি লিটন।
ঘটনার পর মামলা হলেও লিটনকে গ্রেফতার না করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসি। গাইবান্ধায় মানবনন্ধন প্রতিবাদ মিছিলসহ বিভিন্ন বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, আমাদের এলাকার একটিই দাবি ওর গুন্ডা বাহিনী, পেটোয়া বাহিনীর হাতে যে অবৈধ অস্ত্র আছে সেগুলো যেন উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরগঞ্জের পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ বলেন, এই মামলাকে কেউ যেন চাপা দিতে না পারে এবং আইন যেন নিজের গতিতে চলে সেই জন্যই আমরা প্রতিবাদ মিছিল করছি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমদাদুল হক বাবলু বলেন, সে যেই অবস্থানেই থাকুক না কেনো আমরা তারা কাছে কিছুই চাই না।
লিটনের কর্মকাণ্ডে স্থানীয় আওয়ামী লীগও বিব্রত। আগামী বর্ধিত সভায় লিটনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের করার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।
সুন্দরগঞ্জের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম বলেন, শিশু সৌরভকে যে অমানুষিকভাবে হত্যার চেষ্টা করেছে সে কখনই আওয়ামী লীগ নেতা হতে পারে না। আমরা অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
লিটনের ব্যবহৃত ১টি রিভলবার, ১টি শর্টগান ও অন্য দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৫৩ রাউন্ড গুলি থানায় জমা দিলেও গুলির হিসাবে হেরফের পেয়েছে পুলিশ।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি ইসরাইল হোসেন বলেন, এই মামলা হওয়ার পর আইন যেসব কার্যক্রম সেসব কিছুই অব্যাহত আছে। বিধি মোতাবেক তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
২০০৪ সাল থেকে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে থাকা লিটন ৫ জানুয়ারী নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর থেকেই লিটনের বিরুদ্ধে বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। অশ্লীল যাত্রা বন্ধ করতে যাওয়ায় দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঞ্ছিত করেন লিটন। একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি।