নারায়ণগঞ্জে প্রধান শিক্ষককে জনসম্মুক্ষে চরম নিগ্রহকে ক্ষমাহীন অপরাধ মন্তব্য করে এর সাথে যেই জড়িত হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ১৪ দল। শিক্ষক লাঞ্চনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এতে সেলিম ওসমানের ভূমিকা এমপিদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে আয়োজিত ১৪ দলের বৈঠকে বিবেককে তুমুলভাবে নাড়িয়ে দেয়া অমানবিক ঘটনায় এমন মন্তব্য করেন। ১৪ দলের সমন্বয়ক নাসিমের সভাপতিত্বে চলমান রাজনৈতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটি হয়।
“কেউ যদি কোন অপরাধ করে থাকে তবে তার জন্য আইনতো আছে। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারতো।”, ১৪ দলের পক্ষ থেকে এমন দাবি করে নাসিম বলেন, একজন সংসদ সদস্য যেভাবে পাবলিকলি তাকে হেনস্তা করেছে এটা ক্ষমাহীন অপরাধ।
নারায়ণঞ্জে জাতীয় পার্টির সাংসদ সেলিম ওসমানের ভূমিকা অগ্রহণযোগ্য জানিয়ে নাসিম বলেন, ১৪ দল এর তীব্র নিন্দা করছে এবং ১৪ দল মনে করে, যে ব্যক্তিই হোক তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে সে যে ভূমিকা রেখেছে এটা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য না।
“বরঞ্চ অন্য এমপিদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে সে।”
লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষককেই আবার সাময়িক বরখাস্ত করার মতো হতবুদ্ধিকর ঘটনাতেও প্রতিক্রিয়া জানান নাসিম। শিক্ষককে সসম্মানে স্কুলে ফেরানোর দাবি জানিয়ে বলেন, লোকটিকে অপমান-অপদস্ত করা হলো, তারপর তার চাকরি চলে গেলো। এটাতো আরও অন্যায় হলো। আমরা মনে করি তাকে পুনবর্হাল করা উচিত।