মোবাইল নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তনের সেবা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) চালুর প্রথম পাঁচ দিনে মোট ১০ হাজার ১২২ জন গ্রাহক অপারেটর পরিবর্তনের আবেদন করেছেন।
এর মধ্যে ৫ হাজার ৮৬২ গ্রাহক অপারেটর পরিবর্তনে ব্যর্থ হয়েছে। ৭৯ জন গ্রাহক অপারেটর পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছেন।
মঙ্গলবার এক পরিসংখ্যানে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসি’র দেয়া তথ্যে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি অপারেটর বদল করেছে গ্রামীণফোনের (জিপি) গ্রাহকরা। জিপি’র মোট চার হাজার ৬১৬ জন গ্রাহক অপারেটর বদলের আবেদন করেছে। এর মধ্যে সফল হয়েছে এক হাজার ৮৩৪টি এবং বাতিল হয়েছে দুই হাজার ৭৮২টি।
প্রথম পাঁচদিনে ৬৮২ জন গ্রাহক জিপিতে এসেছে। যার মধ্যে টেলিটক থেকে ২৫, রবি থেকে ৩৩১ এবং বাংলালিংক থেকে ৩২৬। আর চলে গেছে এক হাজার ৮৩৪ জন গ্রাহক। এর মধ্যে টেলিটকে ২৮, রবিতে এক হাজার ৩৫৬ ও বাংলালিংকে গেছে ৪৫০ জন।
এই সময়ে রবি থেকে অন্য অপারেটরে গেছে ৯৭২ গ্রাহক। অপারেটরটি থেকে টেলিটকে ৩৭, জিপিতে ৩৩১ এবং বাংলালিংকে গেছে ৬০৪ গ্রাহক গ্রাহক। আর রবিতে এসেছে দুই হাজার ৩৪১ গ্রাহক। যার মধ্যে টেলিটক থেকে ৮২, জিপি থেকে এক হাজার ৩৫৬ ও বাংলালিংক থেকে ৯২৬ জন গ্রাহক যুক্ত হয়েছে।
বাংলালিংক থেকে অন্য অপারেটরে গেছে এক হাজার ২৭৬ জন। যার মধ্যে টেলিটকে গেছে ২৪, জিপিতে ৩২৬ এবং রবিতে ৯২৬ গ্রাহক গেছে। বাংলালিংকে এসেছে এক হাজার ৮৯ গ্রাহক। যার মধ্যে টেলিটক থেকে ২৩ জন, জিপি থেকে ৪৫০ ও রবি থেকে ৬০৪ জন।
প্রথম ৫ দিনে অপারেটর বদল করে টেলিটকে এসেছে ৮৯ জন। টেলিটক থেকে অন্য অপারেটরে গেছে ১৩০ জন গ্রাহক। জিপি থেকে টেলিটকে গেছে ২৫, রবিতে ৮২ এবং বাংলালিংকে গেছে ২৩ গ্রাহক। আর টেলিটকে জিপি থেকে এসেছে ২৮, রবি থেকে ৩৭ ও বাংলালিংক থেকে ২৪ গ্রাহক।
জিপিতে আসতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে ৮৩৩ গ্রাহক। আর জিপি থেকে অন্য অপারেটরে যেতে ব্যর্থ হয়েছে দুই হাজার ৭৮২ গ্রাহক। রবিতে আসতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে ৩ হাজার ৮৬২ গ্রাহক। রবি থেকে অন্য অপারেটরে যেতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে ৯৮২ গ্রাহক।
একইভাবে বাংলালিংকে আসতে চেয়ে পারেনি পাঁচ হাজার ৮৬২ গ্রাহক। আর বাংলালিংক ছেড়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছে এক হাজার ৫১৫ গ্রাহক। এছাড়াও এই সময়ে টেলিটকে যাবার জন্য আবেদন করে ৪৫ গ্রাহক। আর টেলিটক থেকে অন্য অপারেটরে যেতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে ৫৭৯ গ্রাহক।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৭২ দেশে এমএনপি সেবা চালু রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২০১১ সালে এবং পাকিস্তানে এই সেবা ২০০৭ সাল থেকে চালু রয়েছে। এক দশকের অপেক্ষার পর চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে বাংলাদেশে এমএনপি সেবা চালু হয়।
গত বছর নভেম্বরে বিটিআরসি ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক নামে একটি কোম্পানিকে এ সেবা চালুর লাইসেন্স দেয়। তখন ১৮০ দিনের মধ্যে চালুর শর্ত ছিল।