গুডিসন পার্কে তলানির এভারটনের কাছে ১-০ গোলে ধরাশায়ী টেবিলের তিন নাম্বার দল চেলসি। ম্যাচে ৭৮ ভাগ বল নিয়ন্ত্রণে রেখেও গোল পরিশোধ করতে পারেনি টমাস টুখেলের দল। অপর ম্যাচে লেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের রেসে চারে ওঠে এসেছে টটেনহ্যাম হটস্পার।
এভারটনের ডেরায় শক্তিশালী চেলসি নিজেদের কাছে বল রাখলেও আক্রমণে গতি ছিল না। ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের রক্ষণাত্মক কৌশলের কাছে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি টুখেলের শিষ্যরা। উল্টো মাঝে মধ্যেই আক্রমণে ওঠে চেলসির রক্ষণভাগের পরীক্ষা নিয়েছে এভারটন।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকা টুখেল শিষ্যরা পুরো ম্যাচে গোল আদায় করতে না পারলেও পাঁচ হলুদ কার্ড দেখেছে। বিপরীতে তিন হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে এভারটনেরও।
প্রথমার্ধের গোলশূন্য ড্র’য়ের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঠে নেমেই রিচার্লিসনের গোলে লিড নেয় এভারটন। গোলে খেয়ে পিছিয়ে পরে একের এক আক্রমণ চালিয়ে গেলেও তা শোধ দিতে পারেনি টুখেল শিষ্যরা।
শেষ পর্যন্ত আর গোল না হলে পচা শামুকে পা কাটে টুখেলের দলের। টেবিলের ১৮ নাম্বারে থাকা এভারটনের কাছে হারতে হয়েছে ৩ নাম্বারে থাকা চেলসিকে।
হারের পরও পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান একই থাকছে চেলসির। ৩৪ ম্যাচে ২৫ জয়ে ৬৬ পয়েন্ট ব্লুজদের।
অপর ম্যাচে আর্সেনালকে পিছনে ফেলে চ্যাম্পিয়নস লিগের দৌড়ে চারে ওঠে এসেছে টটেনহ্যাম। ৩৪ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট এখন অ্যান্টোনিও কন্তের দলের। ম্যাচের ২২ মিনিটে হ্যারি কেনের গোলে লিড নেয় টটেনহ্যাম। এরপর আর গোল না হলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় টটেনহ্যাম।
দ্বিতীয়ার্ধে আসে আরও দুই গোল। ৬০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সন হিউং-মিন। ৭৯ মিনিটে ফের গোল দিয়ে জোড়া গোল আদায় করে ব্যবধান ৩-০ করেন হিউং-মিন। ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে কেলেচি ইহেয়ানাচোর গোলে ব্যবধান কমায় লেস্টার।