সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি অফশোর প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ১৬৫ কোটি টাকা (২০ মিলিয়ন ডলার) পাচারের অভিযোগে এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলার রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টায় এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান দুদক কার্যালয়ে এলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নের্তৃত্বাধীন একটি দল।
এই দু’জন বাদে আরও ৭ সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুদক। এর মধ্যে রয়েছেন:
ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামিম আহমেদ চৌধুরী ও হেড অব ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ট্রেজারি আবু হেনা মোস্তফা কামাল। হেড অব কর্পোরেট মাহফুজ উল ইসলাম, হেড অব অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) মোহাম্মদ লোকমান, ওবিইউ এর কর্মকর্তা মো. আরিফ নেয়াজ, ব্যাংক কোম্পানি সেক্রেটারি মাহদেব সরকার সুমন এবং প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এম এন আজিম।
গত ১০ ডিসেম্বর তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্য চেয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে নোটিশ পাঠায় দুদক। এর আগে, বুধবার ওয়াহিদুল হকসহ এই ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক চিঠি পাঠায়।
গত ১০ ডিসেম্বর তদন্ত সংশ্লিষ্ট তথ্য চেয়ে ব্যাংকটির এমডির কাছে চিঠি দেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল। তারপর ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর ওয়াহিদুল হক ফজলুর রহমান, শামিম আহমেদ এবং মোস্তফা কামালকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু তারা হাজির না হয়ে উপস্থিত হতে সময়ের আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে আবার তাদের হাজির হতে চিঠি পাঠানো হয় বুধবার।
ওই চিঠিতে ওয়াহিদুল হক ও ফজলুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ডাকা হয়। আর শামিম আহমেদ ও মোস্তফা কামালকে ৩১ ডিসেম্বর হাজির হতে বলা হয়। বাকিদের আগামী ২ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।
মালিকানা পরিবর্তনের গুঞ্জনের মধ্যে গত ২১ ডিসেম্বর এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছাড়েন ওয়াহিদুল হক।