বাংলাদেশে একের পর এক চালান ধরা পরলেও থেমে নেই নতুন মাদক ‘খাত’ আমদানি। মঙ্গলবার আরেকটি চালানে প্রায় আড়াই কোটি টাকার সাইকোট্রফিক সাবসটেনসেস (এনপিএস) বা খাত জব্দ করার খবর দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া থেকে বাংলাদেশের ২০টি আমদানিকারক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে সরকারি ডাকে এসেছিল ওই মাদক।
গত ৩১ আগস্ট বিমানবন্দর থেকে ৮৬১ কেজি এনপিএস বা খাত উদ্ধারের কথা জানিয়েছিল মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এর ঠিক ১০ দিন পর জিপিও বৈদেশিক পার্সেল শাখা থেকে ৯৬ কার্টনে ভর্তি ১ হাজার ৫’শ ৮৬ দশমিক ৩৬ কেজি খাত উদ্ধার করেছে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিম।
মঙ্গলবার দুপুরে মালিবাগের সিআইডির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির ডিআইজি (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন এন্ড ইনটেলিজেন্স) মো. শাহ আলম।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে জিপিও বৈদেশিক পার্সেল শাখা থেকে ৯৬ কার্টন ভর্তি এসব খাত উদ্ধার করা হয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৫ হাজার ৪’শ টাকা।’
তবে এ ঘটনায় কেউকে আটক করতে না পারলেও সোমবার পল্টন থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
দেশের কোন কোন প্রতিষ্ঠানের নামে এই মাদকদ্রব্যগুলো এসেছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ২০টি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে মাদকদ্রব্যগুলো আমদানি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা যাচাই-বাছাই করছি।’
তদন্তের স্বার্থে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি ডিআইজি শাহ আলম।
তবে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখানোর জন্য উদ্ধার করা খাতের যে কার্টনটি রাখা ছিল; সেখানে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ছিল তুরাগের বাদলদির ইশা এন্টারপ্রাইজ।
বাংলাদেশে খাত আমদানির পেছনে যেসব গড ফাদার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি রয়েছে; তাদের খুব দ্রুতই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান ডিআইজি শাহ আলম।
এসব মাদক উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রাজীব ফারহান বলেন, ইয়াবার চাইতেও ক্ষতিকারক চা পাতার মতো দেখতে এ মাদকের সঙ্গে ইয়াবার কাঁচামাল মিশিয়ে ট্যাবলেট তৈরি করা যায়।