বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীনকে (জেএমবি) অবৈধ সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারতের স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক দল জামায়াত-ই-ইসলামিকে (জেইএল) নিষিদ্ধের দুই মাস পর এই সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার।
শুক্রবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জেএমবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বেআইনি কার্যক্রম (প্রতিরোধ) আইন-ইউএপিএ অনুযায়ী, জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জামায়াতুল মুজাহিদীন ভারত বা জামায়াতুল মুজাহিদীন হিন্দুস্তান এবং সংগঠনটির সব প্রকাশনা কালো তালিকাভুক্ত করা হলো।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ইউএপিএ আইনের প্রথম সূচি অনুযায়ী তালিকাভুক্ত হওয়ার অর্থ হচ্ছে এই সংগঠনটি এখন থেকে ভারতে নিষিদ্ধ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জেএমবি ভারতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, সন্ত্রাসবাদের প্রসার, মৌলবাদে জড়ানো এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে তরুণদের নিয়োগে কাজ করেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেএমবি সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লোক নিয়োগ ও তহবিল সংগ্রহ, আইইডিসহ বিস্ফোরক যোগান দেয়ায় জড়িত ছিল।
জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশ করে জেএমবি। বাংলাদেশ সরকারও নিষিদ্ধ করেছে জেএমবিকে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানসহ কয়েকটি বিস্ফোরণে জেএমবির জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। অন্তত পাঁচটি সন্ত্রাসী ঘটনায় জেএমবির সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে আসাম পুলিশ এবং এখন পর্যন্ত ভারতে অভিযুক্ত জেএমবি’র ৫৬ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার কাছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ঘাঁটি স্থাপন এবং দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল জেএমবি।