চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

এবার পাকিস্তানে নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

অর্থ সহায়তা বন্ধের পর এবার পাকিস্তানে মার্কিন নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে দুই দেশের কয়েকদিনের কথা চালাচালির পর স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে  নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধের বিষয় নিশ্চিত করা হয়।

পাকিস্তানে তৎপর জঙ্গিগোষ্ঠী আফগান তালেবান এবং হাক্কানী মিশনের তৎপরতা বন্ধে দেশটির ব্যর্থতার ফলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও পাকিস্তান ট্রাম্প প্রশাসনের এ অভিযোগ শুধু অস্বীকারই নয়, কড়া ভাষায় জবাবও দিয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আভাস মিলেছিল এ বছরের একেবারের প্রথম দিনেই, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি টুইট বার্তায়। এবার তিনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন।

নিজদেশে জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে ব্যর্থ হওয়ায় এবার প্রায় সবধরনের মার্কিন নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধ করা হলো পাকিস্তান থেকে।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, জঙ্গি গ্রুপ হাক্কানী নেটওয়ার্ক এবং আফগান তালেবান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ব্যবস্থা না নেয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র হিদার নুরেট সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন।

মিজ নুরেট বলছেন যে, ‘আজ নিশ্চিত করে বলতে চাই যে আমরা পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধ করছি। যতদিন পর্যন্ত না দেশটির সরকার তাদের দেশে তৎপর আফগান তালেবান গোষ্ঠী ও হাক্কানী গ্রুপের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেবে। তারা এই অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করছে এবং মার্কিন নাগরিকদের টার্গেট করে আসছে। এ জন্যেই পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধ রাখা হবে’।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে মিত্র হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় আঘাত। তবে আফগানিস্তান এবং ভারত প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের। কেবল মাত্র চীন এ বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষে রয়েছে।

এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতারণার আশ্রয়, জঙ্গি দমনে ব্যর্থতা ও তালেবানদের আশ্রয় দেবার অভিযোগে সাহায্য বন্ধ করে দেবার হুমকি দিয়ে টুইট করেছিলেন ট্রাম্প।

সেখানে তিনি লিখেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ১৫ বছর ধরে বোকার মতো পাকিস্তানে ৩৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সাহায্য দিয়ে এসেছে। যার বিনিময়ে তারা কিছুই পায়নি।

অবশ্য এর আগেই ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা পাঠাতে দেরি হবে বলে জানিয়েছিল।

যদিও স্টেট ডিপার্টমেন্টের বক্তব্যে মিজ নুরেট ডলারের হিসেবে ঠিক কত পরিমাণ নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধ রাখা হচ্ছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি।