চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এবার নির্বাচনের কারণে পেছালো বাণিজ্য মেলা

জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৯। এবারের মেলা ১ জানুয়ারির পরিবর্তে আগামী ৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির মহাপরিচালক রমজান আলী বলেন, নির্বাচনের কারণে এবারের মেলা ১ জানুয়ারির পরিবর্তে ৯ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। এ মাসের মধ্যে শেষ হবে স্টল বরাদ্দের কাজ।

গত বছরের চেয়ে এবার বিদেশি প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ অনেক বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৪৩টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। যা গত বছরের চেয়ে তুলনামূলক বেশি।

ইপিবির মহাপরিচালক জানান, মেলাকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে এর প্রধান গেট মেট্রোরেলের আদলে করা হবে। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের থিম থাকবে মেলাজুড়ে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ হবে।

ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, এবারের মেলায় প্রতিবারেরর মতো ভিন্ন আঙ্গিক আনার চেষ্টা করা হয়েছে। মেলায় সুন্দরবন ইকো পার্ক করা হবে। মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক, এটিএম বুথ ও অন্যান্য পণ্যের স্টল থাকবে।

জানা গেছে, মেলায় দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়ন মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৫শ’ প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। মেলায় ভারত, পাকিস্তান, চীন, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ভুটান, নেপাল, মরিশাস, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, রাশিয়া, আমেরিকা, জার্মানি, সোয়াজিল্যান্ড, অস্ট্রেরিয়া, হংকংসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নিবে।

মেলায় সংরক্ষিত মহিলা স্টল ২০টি, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬০টি, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৩৮টি, সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১৮, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়িন ২৯টি,  প্রিমিয়ার স্টল ৬৭টি, রেস্টুরেন্ট তিনটি, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন নয়টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন ছয়টি, বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৬টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন নয়টি, বিদেশি প্রিমিয়াম স্টল ১৩টি, সাধারণ স্টল ২০১টি ও ফুড স্টল ২২টি। এ পর্যন্ত ৫২১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ইপিবি সূত্রে জানা যায়, ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রায় ৮৮ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া ১৬৬ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পেয়েছিল বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো।

এর আগের বছর ২০১৭ সালে পেয়েছিল প্রায় ২৪৪ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ। ২০১৬ সালে ছিল ২৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এছাড়া ২০১৫ ও ২০১৪ সালে রপ্তানির আদেশ ছিল যথাক্রমে ৯৫ কোটি ও ৮০ কোটি টাকা।