ইনিংসের এক প্রান্ত ধরে রাখার চেষ্টায় দলকে ডোবালেন তামিম ইকবাল। রান তোলার গতি কমে যাওয়ায় হারের বৃত্তে আটকে গেল মিনিস্টার ঢাকা। বিপিএলে শনিবার রাতের ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল হেরেছে ৩০ রানে।
১৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তামিমের ফিফটির পরও দেড়শর আগেই অলআউট হয় ঢাকা। ১৯.৫ ওভারে ১৩১ রানে থামে দলটি।
শুক্রবার বিপিএলের উদ্বোধনী দিনে রাতের ম্যাচে তামিম ৪২ বলে করেন ৫০ রান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও শেহজাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে অবশ্য লড়াকু সংগ্রহ গড়ে তারা। তবে ১৮৩ রানের পুঁজিও যথেষ্ট হয়নি। খুলনা টাইগার্স অনায়াসেই তাড়া করে জিতে নেয় ম্যাচটি।
সেই ভুল থেকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারেননি তামিম। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৫ বল খেলে করেন ৫২ রান। বিফলে এ ওপেনারের ধীরগতির দুটি ফিফটিই।
তামিম যখন আউট হন, ওভার প্রতি দশ রান করে প্রয়োজন দলটির। কঠিন চ্যালেঞ্জে ব্যাট চালাতে গিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ঢাকা। আন্দ্রে রাসেল চেষ্টা চালালেও সফল হতে পারেননি। ১০ বলে ১২ রান করে ফেরেন ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটার।
নাসুম আহমেদের ডেলিভারিতে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে রাসেলকে প্যাভিলিয়নে পাঠান শামীম পাটোয়ারি। ইসুরু উদানার ১০ বলে ১৬ ও শুভাগত হোম চৌধুরীর ১৩ বলে ১৩ রানের ইনিংসে হারের ব্যবধান কিছুটা কমে ঢাকার।
নাসুম ৪ ওভারে মাত্র ৯ রানে নেন তিনটি উইকেট। শরিফুল ইসলামের শিকার চার উইকেট। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও নাঈম ইসলাম নেন একটি করে উইকেট। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৬১ রান করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
মিরপুরের কিছুটা মন্থর উইকেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেনার লুইসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রুবেল হোসেন।
দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনকে নিয়ে বিপদ সামাল দেন উইল জ্যাকস। তাদের ৪৮ রানের জুটি ভাঙে আরাফাত সানির বলে আফিফ হোসেনের আউটে। ৪১ রান করা জ্যাকসকে ফেরান শুভাগত হোম।
এরপর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাব্বির রহমান কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ২৫ রান করা মেহেদীকে সাজঘরে পাঠান মাহমুদউল্লাহ। ছন্দে থাকা সাব্বির রহমানকে বোল্ড করেন রুবেল।
তবে ইনিংসের শেষদিকে বেনি হাওয়েলের ১৮ বলে ৩৭ রানে ১৬১ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন রুবেল হোসেন।