পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসককে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে পতন করা যায়নি মন্তব্য করে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বলেছেন, ধৈর্য ধরুন। উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কর্মসূচি দেয়া হবে। সেটা কোনো ভদ্র লোকের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হবে না। কঠোর আন্দোলন হবে, যা তারা (সরকার) কল্পনাও করতে পারবে না।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড ও মৌলিক অধিকার শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা খালেদা জিয়া। এত বড় একটি দলের নেতৃত্বে দেন তিনি। তাকেই মিথ্যা মামলায় বন্দী রাখা হয়েছে। তাও কোথায়? একটি পরিত্যাক্ত কারাগারে। যেখানে তার সঙ্গী ছারপোকা, মশা, তেলাপোকা, ইঁদুর, টিকটিকি ইত্যাদি। এদের সাথে রাখলে তিনি স্বাভাবিকভাবেই অসুস্থ হয়ে যাবেন।’
‘উচ্চতর আদালত জামিন দিলেও নিম্ন আদালতের কারণে তার মুক্তি হচ্ছে না। কারণ সরকার চায় না। বিলম্বিত করার পেছনে সরকারের কারসাজি রয়েছে। এটি তাদের হীনমন্যতা। তারা জানে না যে, যত বেশি দিন তাকে কারাগারে রাখা হবে তত বেশি জনপ্রিয়তা বাড়বে। খালেদা জিয়াকে বের করলে কি হবে সে ভয়েও সরকার তাকে বের করছে না।’
এসময় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের জন্য বৃহত্তর ঐক্য দরকার। এক্ষেত্রে বিএনপিকে আরো উদার হতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সকল শক্তিকে একত্রিত করে আন্দোলন করতে হবে।’
এ সময় মাদক নির্মূল বিষয়ে মওদুদ বলেন, ‘বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মাদক দ্রব্য নির্মূলের নামে ঠাণ্ডা মাথায় মানুষ হত্যা করা হয়েছে। প্রতিটি হত্যার বিচার করা হবে। কারণ কে ব্যবসায়ী কে দোষী, তার রায় কে দিলো? বিনা বিচারে হত্যার ক্ষমতা কে দিলো? যারা দিলো তাদেরও বিচার হবে দেশে। ৯ বছর কোনো পদক্ষেপ নিলেন না কেন?’
‘নির্বাচনের আগে মানুষের মাঝে ভয় সৃষ্টি ও বিরোধী দল দমনের লক্ষ্যে এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। আমরা শুনেছি এখন জেলায় জেলায় আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে। অবিলম্বে এই অভিযান বন্ধ করুন। আপনারা যে শীর্ষ ৭৮ জন মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা করেছেন তাদের কাউকে এখনো ধরতে পারেননি। আগে তাদের ধরুন।’
গোলটেবিল বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।