নভেম্বরের ৯ থেকে ১১ তারিখ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ফোকফেস্ট। সান কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ ও মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী জানালেন, এবারের আসরে বিশ্বের আটটি দেশের মোট ১৪০জন ফোক শিল্পী গান করবেন। যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নেবেন ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ইরান, ব্রাজিল, মালী, ফ্রান্স ও জাপানের শিল্পীরা।
এবারের উৎসবে আকর্ষণ হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশের শাহজাহান মুন্সি, আরিফ দেওয়ান, ফকির শাহাবুদ্দিন, শাহনাজ বেলী, শাহ আলম সরকার ও আলেয়া বেগম, বাউলা এবং বাউলিয়ানা। এছাড়া ভারত থেকে গাইবেন পাপন, নুরান সিষ্টার্স, বাসুদেব দাস বাউল। মালী’র বিশ্বখ্যাত গ্র্যামি বিজয়ী তিনারিওয়েন ব্যান্ডও থাকছে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে। পাকিস্তান থেকে মিকাল হাসান ব্যান্ড, নেপাল থেকে কুটুম্বা, তিব্বতের ফোক শিল্পী তেনজিন চো’য়েগাল, ইরান থেকে রাস্তাক, ব্রাজিল থেকে মোরিসিও টিযুমবাহসহ শেকড় সন্ধানী আরো অনেক গায়ক গাইবেন উৎসবে। আয়োজনের সার্বিক দিকসহ ষ্কয়ার গ্রুপ এর নানা কার্যক্রম নিয়ে একান্ত সাক্ষাতকারে কথা বলেছেন অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু।
ঢাকা আন্তর্জাতিক ফোক ফেস্টিভ্যাল জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। শীতের মধ্যে এই উৎসবের জন্যে সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন সৃজনশীল মানুষেরা। এবারের ফোক ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের প্রস্তুতি বিষয়ে বলুন?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: ফোক ফেস্টিভ্যাল তৃতীয় বছরে পা রাখছে। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের দেশের যারা লোক সংগীত শিল্পী, প্রথম বছরে আমাদের দেশের বরেণ্য লোক সংগীত শিল্পীদের দিয়ে আয়োজন করেছিলেন। এর অন্যতম কারণ ছিল তাদের মাধ্যমে সবাইকে অ্যাট্রাকশন করা। তাছাড়া আন্তর্জাতিক মানের দেশীয় শিল্পীদের মাধ্যমে লোক সঙ্গীতের বিশ্বায়নকে তুলে ধরা। কিন্তু এর পর থেকে নতুন নতুন শিল্পী যারা খুব ভাল গান করছে তাদেরকে সম্পৃক্ত করেছি। যাদের এখনো ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটফর্ম তৈরী হয়নি তাদেরকে সম্পৃক্ত করছি। গেলবছর আমরা ভজন ক্ষ্যাপাকে ইন্ট্রিডিউস করেছি। এবারও এমন কিছু শিল্পী আছে যাদেরকে আমরা প্ল্যাটফর্মটা দিতে চেষ্টা করছি। এর উদ্দেশ্য হলো আমাদের দেশের লোক সংগীতকে সারা বিশ্বে পরিচয় করিয়ে দেয়া। শুধু বাংলাদেশকে নিয়ে করলে এই আয়োজনের আমেজ ততোটা থাকতো না কিন্তু যখনই সারাবিশ্বের লোক সংগীতকে যোগ করেছি তাই এর গুরুত্ব সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু প্রবাসী বাঙালিরা না, বিদেশিরাও এই উৎসবের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। কানাডা, আয়ারল্যান্ড, চায়না, ইরান বিভিন্ন দেশের লোক সংগীতের সম্মিলন। এতে করে কিন্তু আমাদের দেশের শিল্পীদের মানটাও উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে। আমাদের এই যাত্রা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের লোক সংগীতকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে। এটি শুরু হয়েছিল ম্যাজিক বাউলিয়ানা থেকে কিন্তু এটি ছিল একেবারেই আমাদের নিজস্ব বাঙালি শিল্পীদের দিয়ে। ম্যাজিক বাউলিয়ানা থেকে আমাদের পরিকল্পনা এসেছে এটাকে কিভাবে আমরা ভিন্নমাত্রা দিতে পারি এবং এতে আন্তর্জাতিক ছোঁয়া লাগাতে পারি।
এবারের আয়োজনে বিশেষ কী থাকবে?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: প্রতিবারই যেরকম হয়- নতুন নতুন শিল্পীদের আমরা পরিচয় করিয়ে দেই। এটাই এর বিশেষত্ব। কিছু শিল্পী থাকেন পুরনো, বাকিরা নতুন। দুই প্রজন্মের সম্মিলনটা যাতে ভারসাম্যপূর্ণ হয়। যারা বেশিরভাগ দর্শক থাকেন তারা বেশিরভাগই ইয়াং। তাদেরকে আকর্ষণেরও একটা ব্যাপার আছে। আকনকে নিয়ে আসা তাদের সাথে যখন আমরা লোকাল শিল্পীদের নিয়ে তুলে দিচ্ছি। তখন তাদের এক্সপোজার কিন্তু অনেক বেড়ে যাচ্ছে। তিনবারের মত আর্মি ষ্টেডিয়ামের অনুষ্ঠান করার অনুমতি আমরা পেয়েছি। এর জন্যে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর্মির সেনা প্রধানকেও ধন্যবাদ জানাই। সান ইভেন্টস-এর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ। মানুষ আগ্রহে অপেক্ষা করছে আরেকটি ফোক ফেস্টিভ্যালের জন্যে।
সরকারের পক্ষের থেকে কী ধরণের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে আপনাদের?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: আপনারা জানেন এই কনসার্ট সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্রবেশ করা যায়। অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন এবং শুধুমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্যে। আমরা সরকারের কাছ থেকে যে সহযোগিতা পাই তা হলো ফ্যাসিলেটেড করা। বিদেশী শিল্পীদের দেশে নিয়ে আসা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। শুধু সংষ্কৃতি মন্ত্রণালয় এর সহযোগিতাই না, আমাদের যে আইনি প্রতিষ্ঠানগুলো আছে- এনএসআই, ডিজিএফআই, পুলিশ এই সব জায়গা থেকেই আমাদেরকে অনুমতি নিতে হয়। তার পরে এর সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জড়িত। আমরা সরাসরি শিল্পীদের সাথে যোগাযোগ করি তারা তাদের মত করে চলে আসেন। এই ফ্যাসিলেটেড করা এটিও সময়ের ব্যাপার ইট উইল টেক সাম টাইম। দ্রুত গতিতে সরকারি কর্তৃপক্ষ এই কাজগুলো আমাদের করে দেয়। প্রথমবারের থেকে খুব সুন্দর সহযোগিতা পাচ্ছি আমরা। তাদের সহযোগিতা পেলে এই ধরণের আয়োজনের জন্যে আমাদের উৎসাহ বেড়ে যায়। কারণ দেশের আইনতো আমরা মেনে চলি এবং মেনে চলতে যে কাজগুলো দরকার তাদের পক্ষ থেকে তারা যদি না করেন। তাহলে এই সব আয়োজন এতো স্মুথলি করা সম্ভব হয় না। কিন্তু তারা খুবই আন্তরিকভাবেই এই কাজগুলো করে দেন আর তাই আমরা এতো সুন্দর আয়োজন প্রতিবছর করতে পারি।
এবার বিশিষ্ট কোন কোন শিল্পী আমাদের দেশের অংশ নিচ্ছে এবারের কনসার্টে?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: আমি বলেছি- আন্তর্জাতিক ফোক ফেস্টিভ্যালের যাত্রা শুরু হয়েছিল কিন্তু দেশের প্রথিতযশা ফোক আর্টিষ্টদের নিয়ে কিন্তু এরপরে নতুনদের সুযোগ তৈরীর জন্যে তাদেরকে যুক্ত করা হয়। শুধু বিশিষ্ট শিল্পীরা থাকলে নতুনরা তৈরী হবে কিভাবে? তাছাড়া এবার কনসার্টের সময় কিন্তু কম। আমাদের আবেদন ছিল রাত ২টা পর্যন্ত কিন্তু আইন শৃঙ্ক্ষলা বাহিনী এই সময়সূচীকে অনুমতি দিয়েছে রাত ১২:৩০ মিনিট পর্যন্ত। তাই দেশী শিল্পী যাতে কেউ বাদ না পড়ে তাই আমাদেরকে আরেকটু আগে শুরু করতে হবে। মানুষ তো চায় সারারাত ধরে গান শুনতে কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। কারণ দর্শক, দেশী বিদেশী শিল্পী, আয়োজকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সময়সূচী সেইভাবে সাজাতে হয়। কারণ বাংলাদেশে ছোট্ট একটা ঘটনা ঘটলে সেটি অনেক বড় করে সারা বিশ্বে তুলে ধরা হয়। কিন্তু অন্য দেশের বড় ঘটনাগুলো সেই পরিমাণে বড় করে তুলে ধরা হয় না। আমাদের নিজস্ব গন্ডির মধ্যে থেকে সবাই যাতে নিরাপদ থেকে আনন্দ উদযাপন করতে পারে- সেই চেষ্টা থাকবে সকলের। এটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমি জানি দর্শকরা এই আয়োজন সারা রাত ধরে উপভোগ করতে চান, আমি নিজেও চাই। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত করা হয়েছে কনসার্টের সময়।
সান ইভেন্ট বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে খুবই ভাল করছে। এবারের ইভেন্ট কেমন হবে আশা করছেন?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: এটি একটি ফেস্টিভ। আপনি নিজেও গিয়েছেন নিশ্চয়ই সেখানে। আমরা ষ্টেডিয়ামে ঢোকার সময় তল্লাশী করি, দীর্ঘ লাইন ধরে মানুষ ঢোকে, অনেকে মনে করে এটি কালক্ষেপন। কিন্তু মানুষ যাতে লাইনে দাঁড়িয়ে বোরিং না হয় তার জন্যে স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় জায়ান্ট স্ক্রিন দিয়ে দেই। আর যখন ভেতরে যাচ্ছে ভেতরে কিন্তু সবই আছে। ফুড কোর্ট আছে- পানিটাও ফ্রিতে দেই। অনুষ্ঠান চলাকালে আমি পেছনে যাই। ওই জায়গাটা খুবই ভাল লাগে। এতো সুন্দর পরিবেশ দেখলেই ভাল লাগে। মানুষ এতো সুন্দরভাবে শৃঙ্ক্ষলার সাথে আনন্দ করতে জানে, উপভোগ করতে জানে এবং দেশের মানটাকে এতো উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যেতে জানে- এটি কিন্তু এই ধরণের অনুষ্ঠান থেকে বোঝা যায়।
এবারের আয়োজনের সঙ্গে পার্টনার কারা কারা থাকছেন?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: আমাদের সাথে মাছরাঙা টিভি, ইস্পাহানী আছে। আমরা চেষ্টা করি আমাদের গ্রুপটাই এতো বড় যে, তাই আমরা নিজেরাই এই আয়োজনের সাথে জড়িত। ষ্কয়ার হসপিটাল এই আয়োজনের সাথে আছে। ঢাকা ব্যাংক শুরু থেকেই এই আয়োজনের সাথে আছে। এটির নিবেদক ষ্কয়ার টয়লেট্রিজ-এর মেরিল। আছে আছে বেঙ্গল এবং বেঙ্গল ডিজিটাল আছে সম্প্রচারে। গ্রীনডেল্টা ইন্সুরেন্সও আছে। তাছাড়া আরও বেশ কিছু ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান এবারের আযোজনের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। কনসার্টের অনুমোদন না পাওযা পর্যন্ত আমরা তো এগিয়ে যেতে পারি না। এবার আমরা বিদেশী শিল্পীদের সাথে বিদেশী স্পন্সরদের সাথেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। মেরিল এবং ঢাকা ব্যাংক যেহেতু এই ইভেন্টের সাথে শুরু থেকেই জড়িত। তাই আমরা পরে দেখি আর কাকে কাকে এর সাথে যুক্ত করা যায়? একই ধরণের প্রতিষ্ঠান একটি আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকলে সেই ধরণের প্রতিষ্ঠান ওই আয়োজনের সাথে যুক্ত হতে পারে না। এটি কনফ্লিক্ট হয়ে যায়। এটি একটা সমস্যা।
মিডিয়ারও ব্যাপক আগ্রহ থাকে এই আয়োজন ঘিরে। সবগুলো টেলিভিশন চ্যানেল পত্র পত্রিকায় সংবাদ হয়। এটি আপনারা করতে সমর্থ হয়েছেন। সাংবাদিকতা এবং সংষ্কৃতির মেলবন্ধন আপনারা রচনা করতে সমর্থ হয়েছেন। তাই এবার মিডিয়ায় কমিউনিকেশন এর জন্যে কি উদ্যোগ নিয়েছেন আপনারা?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: প্রতিবারই করা হয়, এবারও মিডিয়ার জন্যে আলাদা বুথ থাকবে। এখানে সাংবাদিকদের রেজিষ্ট্রেশনের ব্যাপার আছে তাদেরকে প্রেস কনফারেন্সে বলেছি তাদের কার্ডটা অফিসে পাঠিয়ে দেব আমরা। আপনাদেরকে আসতেও হবে না। তারপরেও যদি তারা ফিজিক্যালি পিক করে তাহলে করতে পারবে। আমরা কিন্তু সবসময় এই ফিডটা শেয়ার করি এখানে মাছরাঙার রাইটস আছে। দ্যাট ডাজ নট মিন- যদিও এটি বলে এক্সক্লুসিভ। আসলে এটি এক্সক্লুসিভ না, শেষ পর্যন্ত থাকে না। যেহেতু আমার নিজের মিডিয়া আছে। এই জন্যে যে বিষয়টি হয়, যারা মিডিয়ার ব্যক্তিত্ব আছে যেমন- চ্যানেল আই এর ফরিদুর রেজা সাগর আমার ইয়াংগার ব্রাদার। তিনি ফোন করে বলেছেন যে, যা যা করতে হয় আমি করবো। মিডিয়া পার্টনার কিন্তু মাছরাঙা? কিন্তু চ্যানেল আই এর কর্ণধার তিনি বলেছেন প্রমোশনের যা যা করতে হয় আমি করবো। এই থেকে বোঝা যায় আমাদের নিজেদের মধ্যে আগ্রহ, আন্তরিকতা এবং ভালবাসা কতোটুকু? আমি সাথে সাথে আমার এক কলিগকে বলে দিয়েছি- এই ব্যাপারে যে যা চায় ফুটেজসহ যে কোন সহযোগিতা তা করবে। অনেকে বলে এটি এক্সক্লুসিভ করে দেব। কিন্তু আমার কাছে আসার পরে তা কিন্তু আর থাকে না। এর দাবিদার বাংলাদেশ, এর দাবিদার সকল মিডিয়া। এখানে যারা দর্শক সবাই দাবিদার, যার জন্যে এটি ফ্রি করা হয়েছে এবং একটা সময়ের পরে এটি লাইভে যাবে। আর এখন তো সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ তাই কোন কিছু আর ঠেকানো সম্ভব হবে না।
গত বছরের তুলনায় এবার রেজিষ্ট্রেশনের পরিমাণ অনেক বেশি এবং অনেকে বলছেন রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া অনেক কম সময়ের জন্যে অপেন করা হচ্ছে এবং তা পাওয়া যাচ্ছে না?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: না, পাওয়া যাচ্ছে না এর কারণ আছে। আমরা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। এতো ডিমান্ড কিন্তু ধারণ ক্ষমতার বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। আমাদেরকে বলা হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা সেফফুলি আরও কিছু এড হতে পারে। অনেকে হয়তো বরগুণা থেকে রেজিষ্ট্রি করেছে, দেখা গেলো সে নানা কারণে আসতে পারলো না। অনেকে আবার ঢাকা থেকে রেজিষ্ট্রেশন করেও আসতে পারেন না নানা কারণে। সেই জন্যে আমরা কিছু এক্সেস করি। এবার এতো ডিমান্ড যে, কয়েক দিন আগে দশ মিনিটের জন্যে খুলে ১২ হাজার রেজিষ্ট্রেশন হয়ে গেছে। এই ধরণের সাড়া সত্যিই পাগল করার মত এবং তা কন্ট্রোল করা সত্যিই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং। এই তিন দিন পেছনে যে কি পরিশ্রম তা অনেকেই বুঝতে পারেন না।
বেঙ্গল গ্রুপ এর ক্ল্যাসিক্যাল ফেষ্টিভ্যালের সাথে আপনারাও জড়িত ছিলেন। কিন্ত তারা এবার আয়োজনের অনুমতি পায়নি। এই বিষয়ে কিছু বলুন?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: এটি খুব ভাল উদ্যোগ ছিল এবং এটির মাধ্যমে বাংলাদেশের মান বেড়েছিল। অনেকে এটির সাথে মিলিয়ে তাদের ট্রাভেল প্ল্যান করতো। এটি পাঁচদিনেও হয়েছে আমরা ছিলাম ষ্পন্সর। কিন্তু এবার আমরা এই আয়োজনটি মিস করবো। হয়তো আগামীতে তাদের আবারো পাব তাই প্রত্যাশা তো থাকেই? কেন হলো না, কি কারণে হলো তা তারাই জানেন কিন্তু আগামী দিনে আবার হবে এই প্রত্যাশা থাকবে।
প্রথম আয়োজনের সময় বলেছিলেন আপনার নিজ জেলা পাবনাতে এই ধরণের আয়োজন করবেন- তা কি সম্ভব হবে?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: এটি সম্ভব হবে কিন্তু পাবনাতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো পাবনাতে এখনো অবকাঠামো সেইভাবে গড়ে ওঠেনি। এই শিল্পীগুলো নিরাপত্তা হয়তো দেয়া যাবে কিন্তু তাদের থাকার যে সুব্যবস্থা তা এখনো পাবনাতে হয়নি। তাই আন্তজার্তিক মানের কোন খেলা আমরা আনতে পারি না। কারণ এই রকম জায়গায় থাকার কোন ভাল জায়গা নাই। তাই পাবনাতে করা সম্ভব হচ্ছে না। কিছু ডেভলপমেন্ট সেখানে হচ্ছে এখন বর্তমানে আয়োজন করলে সেখানে ১০০ জনের মত মানুষের থাকার ব্যবস্থা করতে পারবেন। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট করতে হলে তার সাথে কান্ট্রি ইমেজেরও ব্যাপার। তাই সব কিছু ভাবতে হয়।
টোটাল ইভেন্ট কবে থেকে শুরু হবে?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: টোটাল ইভেন্ট শুরু হতে যাচ্ছে নভেম্বরের নয় তারিখ থেকে তিন দিনব্যাপী নয় দশ এবং এগারো তারিখে। প্রথম দিন শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টার সময়ে। আর শুক্রবারে শুরু হবে সাড়ে পাঁচটা থেকে। আমি আমাদের কলিগদের সাথে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত করা হবে। আমাদের যেহেতু সময়টা সীমিত রাত সাড়ে বারোটার মধ্যে আয়োজন শেষ করতে হবে এবং আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। আশা করি আমাদের যারা দর্শক থাকবেন এই তিনটা দিন খুব সুন্দরভাবে আটটি দেশের ফোক শিল্পীদের পরিবেশনা উপভোগ করতে পারবেন। সারাদেশ এবং বিদেশ থেকে যে ধরণের সাড়া পাচ্ছি আমরা তা খুবই আশার ব্যাপার আমাদের জন্যে। প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সহযোগিতায় আগামী দিনেও যাতে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পারি ধারাবাহিকভাবে সেই প্রত্যাশা আমাদের। সেনা বাহিনী এবং সেনা প্রধানকে সান ইভেন্টস, মাছরাঙা এবং দর্শকদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই তিন দিন আমাদের অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেয়ার জন্যে।
লোক গানের প্রসারে এই আয়োজন কেমন ভুমিকা রাখতে পারে?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু : আমি মনে করি এটি বিচার করা খুব কঠিন। কিন্তু এটির ব্যাপকতা পেয়েছে- গতবার আমাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্টেজ থেকে নামতে নামতে দেখি-আমার ফোনে ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউইয়র্ক থেকে ছবি পাঠাচ্ছে। শুধু দেশেই নয়, বিদেশের লোকাল ফ্রেন্ডসরা ছবিসহ পাঠাচ্ছে। আমি স্টেজ থেকে নামতে নামতে দেখছি। এর থেকে বোঝা যায় ব্যাপকতা কতোখানি? এবারও কিন্তু একই ঘটনা ঘটছে। যখনই একটা ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোজার হয় এবং সাকসেসফুলি একটা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়- এটির ব্যাপকতা কিন্তু আরও বৃদ্ধি পায়। কারণ এটি তো অল পজিটিভ গেলো দুইবার সফলতার সাথে এবার তিনবারের মত সুন্দরভাবে প্রস্তুতি চলছে। অনেক লোকাল শিল্পী এখানে তাদের সংগীত পরিবেশনার জন্যে আগ্রহ প্রবকাশ করছেন। এটি কিন্তু খুব ভাল সাইন। এখন সারা বাংলাদেশে লোক সংগীত নিয়ে অনেক অনুষ্ঠান হয় এবং অনেক টেলিভিশন পত্র পত্রিকায় ব্যাপক প্রচারণা চলে এই সবই খুব আশার ব্যাপার। সকালে ঘুম থেকে উঠে আািম নিজে বিভিন্ন চ্যানেলে অনুষ্ঠান দেখি। কোন চ্যানেলে ভাল কাউকে গান করতে দেখলে কলিগদের বলি- এই শিল্পীকে আমাদের চ্যানেলে নিয়ে আসো। শিল্পীদের নিয়ে অনেক কাজ হচ্ছে। চ্যানেল আই এর ক্ষুদে গানরাজ এবং সেরা কণ্ঠ ব্যাপক সফলতা পেয়েছে এবং সেখান থেকে আমরা অনেক শিল্পী পাচ্ছি। অনেক কোয়ালিটি শিল্পী আমরা এখন পাচ্ছি। কিন্তু আমরা জানতাম না তারা আছে তাদের কিন্তু বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে চিনতে পারছি।
অনেক দেশের লোক গান শুনেছেন, কোন দেশের গান সবচেয়ে ভাল লেগেছে?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: আমার দেশের গান, এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। আমার জীবন শুরু হয়েছে পাবনা, নদীর ওই পাড়ে কুষ্ঠিয়া। আমার গানের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে লালনকে দিয়ে। এখনকার নামীদামী শিল্পী তখন কিন্তু তারা ঢাকাতেও আসেননি। যেমন- রব ফকির, টুনটুন বাউল তাদের কোন এক্সপোজারই ছিল না ঢাকাতে। তারা কুষ্ঠিয়াতে এবং আমার বাসা পাবনাতে আসতো। আমি তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাতাম একেকবার একেকটা দল এসে আমাদেরকে গান শোনাতো। অনেকেই আছে তাদের তখন ঢাকাতে কিছুই ছিল না।
মাটির গানে প্রতি আকর্ষণ কি আপনার শৈশব থেকে?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: আমি গ্রামের ছেলে। গ্রাম থেকে শহর, শহর থেকে ঢাকা আর ঢাকা থেকে বিদেশ। ছোটবেলা থেকে এই সব মাটির গান শুনে আমরা বড় হয়েছি।
আপনারা সংষ্কৃতির প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকেন। মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কার, ফোক ফেস্টিভ্যাল, মাছরাঙা টেলিভিশন , সান ইভেন্টসহ অনেক উদ্যোগ আপনাদের। তাই জানতে চাই সাংষ্কৃতিক জাগরণে আপনাদের মিডিয়া প্ল্যান কি?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: সকালে ঘুম থেকে এটি আমি চিন্তা করি না যে, আমি সংষ্কৃতির জন্যে কি করবো? এটি আসলে ন্যাচারালি আসে। একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং সেটি ধরে আমরা এগিয়ে যাই। এই যে লোক সংগীতের এতো বড় আয়োজন এর সূত্রপাত হয়েছিল ম্যাজিক বাউলিয়ানা থেকে। একটি আইডিয়া আরেক পর্যায়ে চলে যায়। আমার পাবনাতে পুরনো দানের একটি বনমালী ইন্সটিউট আছে। এটি যখন সংষ্কার করা হলো। অপেনিংয়ে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হলো আমি গিয়ে দেখলাম, এটি সংষ্কৃতির জন্যে না হয়ে কমিউনিটি সেন্টারের মত হয়ে গেছে। এমন সিচুয়েশন আমাকে বাধ্য করলো এটাকে টেকওভার করে মোডিফাইড করে থিয়েটার টাইপ চেয়ার দিয়ে ব্যালকনী করে পরে সংষ্কৃতির মত করা হলো। আসলে পরিস্থিতি সব কিছু করতে উৎসাহ যোগায়। এটি দান করা হয়েছিল সংষ্কৃতির জন্যে। আমি দেখেছি ছোটবেলায় আমার বাবা মা সেখানে গিয়ে নাটক গান শুনতো। পাবনার তো অনেক ঐতিহ্য এই সমস্ত শিল্পীদের নিয়ে। বারিন মজুমদার, গৌরী প্রসন্ন মজুমদার এই রকম অনেকেই পাবনার। একটা সুযোগ থেকে এই প্রতিষ্ঠান এখন সুন্দরভাবে চলছে। প্রতি মাসে অনুষ্ঠান হচ্ছে। যেসব নাট্যদল আছে তাদের কোন স্পন্সর লাগে না। এখান থেকেই স্পন্সর আসে মানে আমরাই স্পন্সর করি। বনমালী এখন নাম চেঞ্জ করে এখন দেয়া হয়েছে শিল্পকলা কেন্দ্র। পাবনার কিছু মানুষ এখানে মুক্তহস্তে সহযোগিতা করে। আমি আসলে জানি আগামীকাল হয়তো কোন নতুন সাংষ্কৃতিক উদ্যোগে চলে যাব। আমরা যেটা চেষ্টা করি মানটা ধরে রাখতে। আমাদের কাছে অনেকে আসে তাদের পরিকল্পনা নিয়ে কিন্তু সেগুলো ততোটাে কোয়ালিটিফুল না হলে কি সাথে থাকা যায়?
আপনার সাংষ্কৃতিক এবং ব্যবসায়িক সব ধরণের উদ্যোগের প্রধান পুরুষ ছিলেন আপনার পিতা স্যামসন এইচ চৌধুরী। আপনার বাবাকে বর্তমানে এই ধরণের উদ্যোগে কতোটা মিস করেন?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: বাবাকে তো প্রতিদিনই মিস করি। আমরা আজকে যে পর্যায়ে আছি এর সবই বাবা মায়ের কৃতিত্ব। আমাদের নিজস্ব কোন কৃতিত্ব নাই। আমি আমার সন্তানদের বলি- আমার মনে আছে কয়টা শার্ট ছিল আমার। আমার খেলনা ছিল দুইটা। কিন্তু কখনো কোন কিছুর অভাব বোধ করিনি। বাবা মা দুইজনেই ছিলেন সাংষ্কৃতিমনা। বাসায় দেখেছি ট্রানজিষ্টার রেডিও ছিল। টেপ রেকর্ডার প্রথম আমার বাবাই পাবনায় প্রথম নিয়ে এসেছিলেন। বাবা গান শুনতেন। তার গানের সংগ্রহ ছিল ব্যাপক। বনমালির কথা বললাম সেটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। সারা বিশ্বের নামীদামী শিল্পীর গান শুনতেন। গাড়িতে যেতে যেতে গান শুনতেন বাবা।
আপনার কসমেটিক্স, ঔষুধ এবং কর্পোরেট অঙ্গনে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। টোটাল ষ্কয়ার গ্রুপ এর পরিকল্পনা কী?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: আমাদের প্রথম এবং বাবার যেটি সবসময়ই স্বপ্ন ছিল এবং অনেকাংশে তা পূর্ণতা পাচ্ছে । আমাদের পরিবার অসম্ভব ন্যাশনালিস্টিক। আমরা দেশ থেকে নেয়ার চেয়ে দিতে ভালবাসি বেশি। কারণ এই দেশে এই দেশের আলো হাওয়ায় আমরা বড় হয়েছি। আজকে যা কিছু সবই এই দেশের অবদান আমাদের জীবনে। বাবার লক্ষ্য ছিল এই দেশের দারিদ্র্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখা কর্মসংস্থানের মাধ্যমে। অনেক সময় বলতাম, বাবা তুমি এতো কাজ করো কোন? দেখা গেলো তিনি মাকে নিয়ে বিদেশে যাবেন কিন্তু দেখা গেলো তিনি তার ব্যবসায়িক কাজে যাচ্ছেন। তিনি বলতেন, আমার জীবনে যা পাওয়ার পেয়ে গেছি এখন কাজ করছি মানুষের জন্যে। আর একটা বিষয়ে বাবা আপোষহীন ছিলেন তা হলো- কোয়ালিটি।
আপনারা বিপিএল-এর সাথেও জড়িত। মাছরাঙা টিভির মাধ্যমে, মিডিয়াকম, সানি ইভেন্ট, মেরিল, স্কয়ার টয়লেট্রিজ এই সব অসংখ্য উদ্যোগ আপনাদের স্কয়ার গ্রুপ-এর। এই বিশাল কর্মকান্ড কিভাবে সম্ভব হলো?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: সব কিছু মাথার উপরে তার বুদ্ধি পরামর্শতে। বাবার নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান সবসময় এটাকে নার্চার করা, তাদের সময়কার জেনারেশন কিন্তু অন্যরকম। তাদের প্রিন্সিপাল, ওয়ার্ক এথিক্স- এই সেন্সে তখনকার সময়ের জন্যে এটি ঠিক ছিল। আর আমি কিন্তু সবসময়ই বলি ডিসেন্ট্রালাইজড। মিডিয়াকম এর কথা বললেন। মিডিয়াকম কিন্তু আমি দেখি না। হয়তো আমি ক্রেডিটটা পাই। কিন্তু আসলে আমি দেখি না। আরেকটি জিনিস দেখবেন, মিডিয়াকমে কোন বিদেশী মানুষ নাই। অনেক এড কোম্পানী কিন্তু বিদেশীদের এনে তাদের দিয়ে পরিচালনা করায়। আমি মনে করি এতে কোন গর্ব নাই। আমার গর্ব এইখানে এই দেশের ছেলেমেয়েরা মিডিয়াকমটা চালাচ্ছে। এই সব ডিসিশন তারা দিচ্ছে ডে টু ডে। সব কিছুই নিজের মত করে অন্যরা চালাচ্ছে। আরেকটি ব্যাপার হলো ইউনিটি অব ট্রাস্ট, বিশ্বাস লাগে। আমি যদি দশ জনকে বিশ্বাস করি তার মধ্যে দুইজন আস্থাভাজন না হতে পারে কিন্তু আটজন বিশ্বাসের মর্যাদা দেবে। তা না হলে স্কয়ার কিন্তু আজ এই পর্যন্ত আসতে পারতো না। এটি আমার বাবা বা আমরা এই পর্যায়ে নিয়ে আসিনি আমাদের কলিগরা এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। দিনের পর দিন তারা কাজ করে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাবা সবসময় ইথিক্স, সিনসিয়ারিটি এই সবের উপরে জোর দিতেন। এখনো আমরা হাইয়েস্ট ট্যাক্স পেয়ার। আমাদের চেয়ে বড় অর্গানাইজেশন বাংলাদেশে নাই? অবশ্যই আছে। জীবনেও দেখিনি করের তালিকায় তাদের নাম আছে। আবার এমন অনেকেই আছেন যাদের নাম কোনদিনও শুনিনি কিন্তু তারা তালিকায় আছেন। নিরবে চুপিচুপি তারা তাদের কাজ করে যাচ্ছেন।
বিপিএল নিয়ে কিছু বলুন?
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু: এবার বিপিএল কাকতালীয়ভাবে হচ্ছে। যখন সিলেট সিক্সার্স-এর ফ্যাঞ্চিয়াইজ আসলো এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি আর বাবা ৪০ বছরের বন্ধু ছিলেন। আমি তাকে চাচা ডাকি। চাচা যখন বললেন, তুমি আমার সাথে থাকবে, তখন আমি জিঞ্জেসও করিনি কিসের ব্যাপারে? এইভাবেই বিপিএল-এর সাথে যুক্ত হয়েছি।
এবারের ফোকফেস্টের আদ্যোপান্ত:
ছবি: তানভীর আশিক