চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এবারের ঈদে ক্রিকেটারদের ছুটোছুটি

বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে প্রথম ঈদ। পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়েই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির করার কথা নবদম্পতির। কিন্তু সেটা হচ্ছে না মুশফিকুর রহিমদের। ঈদের পরপরই ২১ জুলাই থেকে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট। আর তাই এই ঈদে গ্রামের বাড়ি বগুড়ায় যাওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কের। চট্টগ্রামেই স্ত্রীকে নিয়ে ঈদ করবেন মুশফিক। স্বামীর সঙ্গে ঈদ করতে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে পৌছেছেন মুশফিকুর রহিমের স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াত।

স্বামীর ব্যস্ততায় ঈদ করতে বগুড়ায় যেতে না পারলেও শ্বশুরবাড়ির সবাইকে আগেভাগেই ঈদ উপহার পৌছে দিয়েছেন জান্নাত। মুশফিকুর রহিমের বাবা হামিদ হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বৌমা আমাদের পরিবারের একেবারে ছোট থেকে বড় সবার জন্য ঈদের উপহার নিয়ে বগুড়য়ায় এসেছিলো।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

‘কিন্তু একসঙ্গে ঈদ করা হচ্ছে না। তাই কিছুটা খারাপ লাগছে। আসলে ঈদের পরপর টেস্ট খেলা পড়ে যাওয়ায় এই ঈদে মিঠুকে (মুশফিকের পারিবারিক নাম) আমরাই বলেছি না আসতে। সে মনোযোগটা নিজের খেলার উপরই রাখুক, এটাই চাওয়া,’ বলে মন্তব্য করেন মুশফিকুর রহিমের বাবা হামিদ হোসেন।

মুশফিকের একেবারে উল্টো অবস্থা তামিম ইকবালের। সিরিজের প্রথম টেস্ট চট্টগ্রামে হওয়ায় নিজ শহরেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঈদ উদযাপন করার সুযোগ ছিলো বাংলাদেশী ওপেনারের। তবে চারদিনের ছুটি পাওয়ায় চট্টলা থেকে ঢাকায় চলে গেছেন তামিম। অবশ্য নিজের শহরে রানে ফেরা এবং সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আনন্দও এবারের ঈদে যোগ হচ্ছে তামিম পরিবারে।

একই অবস্থা সাকিব আল হাসানের। চার দিনের ছুটিতে স্ত্রীসহ ঢাকায় ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মা-বাবা-বোনকে নিয়ে পরিবারের সঙ্গেই ঈদ উদযাপন করার কথা সাকিব এবং শিশিরের।

ঈদের আগেই টি-টুয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজ শেষ হয়ে যাওয়ায় সাউথ আফ্রিকা সিরিজে দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে টি-টি এবং ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজার। অন্য সবার চেয়ে ম্যাশ তাই অনেকটাই নির্ভার। ঢাকা ও চট্টগ্রাম জয় করে ম্যাশের এবারের ঈদ আনন্দ হবে নড়াইলে, নিজের গ্রামে।

নড়াইলের পাশেই বাগেরহাট। বাংলাদেশ দলের আরেক অপরিহার্য পেসার রুবেল হোসেনের বাড়ি যে জেলায়। অবশ্য মাশরাফির মতো নিজ গ্রামে ঈদ করা হচ্ছে না রুবেলের। কারণ ম্যাশ না থাকলেও বাংলাদেশের টেস্ট দলের সবচে সিনিয়র পেসারতো এখন রুবেলই। তাই চট্টগ্রামেই করতে হচ্ছে ঈদ।

চ্যানেল আই অনলাইনকে রুবেল হোসেন বলেন, এটিই প্রথম না। এর আগেও একবার ঈদে পরিবারের বাইরে ছিলাম আমি। খেলার কারণে তখন ইংল্যান্ডে ঈদ করেছি।

চট্টগ্রামে ঈদ করলেও রুবেলের ঈদের কেনাকাটা হয়েছে রাজধনী ঢাকায়। নিজে নিজেই ঈদ শপিং করেছেন রুবেল। ঈদের কেনাকাটার কথা জানিয়ে রুবেল বলেন, অনেক কিছুই কিনেছি এবার। স্লিম শার্ট, জিন্স, কনভার্স এমনকি স্যান্ডেলও কেনা হয়েছে। ‘এমন একটা সিরিজ জয়ের পর আসলে ঈদের আনন্দ আরও বেড়ে গেলো,’ বলেন রুবেল।

রুবেল হোসেনের উল্টো অবস্থা আরেক পেসার তাসকিন আহমেদের। ইনজুরির কারণে দলে না থাকলেও কেনাকাটার জন্য সময়ই নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। এতোদিনে শুধু একটা পাঞ্জাবি কেনা হয়েছে। তবে যেহেতু রাজধানীতেই ঈদ করা হচ্ছে, কেনাকাটার জন্য চাঁদ রাত পর্যন্ত সুযোগ আছে তাসকিনের।

সাকিব-তামিমের মতো ঈদ করতে ঢাকায় ফিরেছেন নাসির-সাব্বিররাও।

কিন্তু টেস্ট ম্যাচের কারণে চট্টগ্রামেই ঈদ করতে হচ্ছে অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লা রিয়াদ, স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং পেসার মুস্তাফিজুর রহমানদের।