করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে আরো ৮৫০ কোটি টাকার (১০০ মিলিয়ন ডলার) ঋণ সহায়তা দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি)।
বুধবার এ ঋণ চুক্তি সই হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এডিবির ঢাকা কার্যালয়।
বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন এবং এডিবির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ ঋণ চুক্তিতে সই করেন।
করোনা সংক্রমণের পর এ দুর্যোগ মোকাবিলায় তিন ধাপে বাংলাদেশকে ঋণ অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ২ কোটি ৫৫ লাখ (৩ লাখ ডলার), দ্বিতীয় ধাপে ৮৫০ কোটি (১০০ মিলিয়ন ডলার) এবং তৃতীয় ধাপে চার হাজার ২৫০ কোটি টাকার (৫০০ মিলিয়ন ডলার) ঋণ অনুমোদন দেয়।
এই ঋণের সুদের হার ১ শতাংশ। ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪০ বছরে এই ঋণ পরিশোধযোগ্য।
এডিবির ঋণের টাকায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জরুরিভিত্তিতে সাড়ে তিন হাজার ডাক্তার ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড-১৯ বিষয়ে আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি যেসব হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভেন্টিলেটর স্থাপন করা হবে। ১৭টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৭টি আইসোলেশন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) স্থাপনসহ ১৯টি পরীক্ষাগার আপগ্রেড করা হবে।
এ বিষয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ানো করোনা মহামারি ঠেকাতে আমরা ১০০ মিলিয়ন ডলার দিতে পেরে আনন্দিত। বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ ইতিমধ্যে নিয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় সরকারকে আমাদের এই ঋণ সহায়তা সহযোগিতা করবে।’
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ সরকারের করোনা মোকাবিলায় নেয়া পদক্ষেপ ও স্বাস্থ্য খাতের পুনর্গঠনের মাধ্যমে তারা এ ক্ষেত্রে সফল হবে।