একুশে আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় ‘জজ মিয়া’ কাহিনী তৈরীর পর মা আইভি রহমান হত্যার বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে এখন আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন তিনি। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার সময় এজলাসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পাপন।
তিনি বলেন, আম্মুকে সিএমএইচ এ নিয়ে যাওয়া। তারপর আমি এবং আমার স্ত্রী যাই লাশ আনতে ওগুলোই বলছিলাম আর সে বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না। নাজমুল হাসান পাপন বলেন, সত্যি কথা বলতে কি, ওই সময় আমার ধারণা ছিলো এই মামলার বিচারই হবেনা। এ ধরণের মামলার বিচার আমরা কখনো দেখিনি।
২০০৪ সালের একুশে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় যে ২৪ জন মারা যান, আইভি রহমান ছিলেন তাদের একজন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী আইভি রহমান ছিলেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা।
ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার ১৯৭তম সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন আইভি রহমানের পুত্র নাজমুল হাসান পাপন।
এরপর আদালতে সাক্ষ্য দেন নাজমুল হাসান পাপনের স্ত্রী রোকসানা হাসান। আবেগপূর্ণ সাক্ষ্য দেয়ার পর আসামীপক্ষ থেকে তাদের কোনো জেরা করা হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, আমার যা মনে হয়েছে জেরা করার মতো তারা কোন উপাদান খুজে পাননি। আইভি রহমান মারা যান নাই বা আহত হন নাই এবং তার দুটি পা উড়িয়ে যায় নাই এটা বলা যাবেনা। কাজেই কী জেরা করবে।
আরো কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়ার পর মামলাটি নিস্পত্তি হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।