কুমিল্লার একটি আদালতের এজলাসে ভেতরে বিচারকের সামনে এক আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
তিনি বলেছেন, ‘তারা দুই জন (নিহত ব্যক্তি ও হামলাকারী) মামাতো ফুপাতো ভাই, একই মামলার আসামি ছিলো। আবেগের বসে একটা দুর্ঘটনায় এ ঘটনা ঘটে গেছে।
“আর এটা নিয়ে বিএনপির একজন নেতা প্রেস ব্রিফিং করে, সরকারের পদত্যাগ দাবি করলো। বিএনপি নেতারা কোন মুখে, কিভাবে সরকারের ব্যর্থতার কথা বলেন? এই ঘটনা নিয়ে কথা বলার আগে আয়নায় নিজের চেহারা দেখেন, অতীতটা দেখার চেষ্টা করেন।”
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত “গণতন্ত্রের মানসকন্যা বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত দেশরত্ন শেখ হাসিনার কারান্তরীণ ও গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস” উপলক্ষে আলোচনা সভা হানিফ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন: এই বাংলাদেশ আপনারা (বিএনপি) ক্ষমতা ছিলেন, তখন ঝালকাঠিতে আদালতের মধ্যে বোমা হামলা করে ২ বিচারককে হত্যা করে ছিলেন। গাজীপুরের আদালত বোমা হামলা করে ১২ জন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছিলো। কোথাও ছিলো তখন আপনাদের সরকার।
‘‘সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজারে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর ওপর হামলা হয়েছিলো। একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে পর্যন্ত আপনার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। আবার খুব বড় বড় গলায় এখন বলেন সরকারের ব্যর্থতার জন্য সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ।’’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ২০০৬ সালে আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন নাই। ক্ষমতা আগলে রাখার জন্য আপনাদের রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে সরকার গঠন করার চেষ্টা করেছেন। যার জন্য ১/১১ এর সরকার গঠিত হয়েছিল। কেন বিএনপি সেই সময় ক্ষমতা ছাড়তে চায় নাই? কারণ তার জানতো ৫ বছর ক্ষমতায় থেকে অপকর্ম করেছে। জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো।
দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাংসদ নূরুল আমীন রুহুল, শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।