জলবায়ু সংক্রান্ত জাতিসংঘের আন্তঃসরকার প্যানেল আইপিসিসির তথ্যমতে গত শতকে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০৮০ সাল নাগাদ সমুদ্রতল ১৬ থেকে ৬৯ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়বে।
আর এই কারণে বাংলাদেশের ভূমির এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে ডুবে যাবে। নদ-নদীতে লোনা পানির পরিমাণ বেড়ে যাবে, বাড়বে শরণার্থীর সংখ্যা।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এরই মধ্যে বাংলাদেশে উপকূলীয় ২ কোটি মানুষ খাবার পানির লবণাক্ততার সমস্যায় পড়েছে।
নদীর পানিতে লবণাক্ততা থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় এশিয়ান ডেভোলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় সরকারের বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ ধরনের একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে খুলনা অঞ্চলে।
এবিডির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ওলেগ তংকুনুজেংকভ বলেন, খুলনা অঞ্চলের মানুষের জন্য এই প্রকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে এখানে যে নদীগুলো রয়েছে সেখানে লবণাক্ততার মাত্রাতিরক্ত বাড়ছে। পরিবেশের এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে বাঁচাতে এই প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে এডিবি।
এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত কর্মকতারা আশা করছেন ২০১৬ সালের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
খুলনা ওয়াসার এমডি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, মধুমতি নদীর পাড় থেকে শুরু করে ৩৩ কিলোমিটার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে খুলনা শহরের প্রতিটি বাসা-বাড়িতে পানি সরবরাহের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
খুলনার পর অন্যান্য উপকূলীয় অঞ্চলের জন্যও এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেবে সরকার।