৭ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে শাবানা, আলমগীরের সাথে অভিনয় করেছিলেন রতন। পরে শাবনূরের হাত ধরে ৪০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। পরিচিতিও পান সেসময়।
সেই রতনকে ৩ বছর আগে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ থেকে বাদ দিয়ে দেয় মিশা-জায়েদ খান প্যানেল- এমন অভিযোগ রতনের।
বুধবার দুপুরে এফডিসিতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করা রতন বলেন, ৩ বছর আগে সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান আমার ভোটাধিকার কেড়ে নেন। একাধিকবার সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত তা ফিরে পাইনি।
চ্যানেল আই অনলাইনকে রতন বলেন, শাবনূর আপা আমার সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে বললেও কাজ হয়নি। এতো বছর ধরে কাজ করেও সদস্যপদ পাইনি। এরচেয়ে দুঃখজনক কিছু হতে পারে না।
কাঁদতে কাঁদতে রতন বলেন, কমেডিয়ান হিসেবে ৪০টি সিনেমা করেছি। সবমিলিয়ে আমার সিনেমার সংখ্যা ২০০। এখানে সবাই খালি মুখে মুখে ভালোবাসা দেয় কিন্তু কাজের বেলায় কাউকে পাশে পাইনা। কিন্তু আমরা কাজ চাই।
বছর তিনেক আগে ১৮৪জন শিল্পীকে বাদ দেয় মিশা-জায়েদের প্যানেল। সেসময় কমিটি জানায়, যারা প্রকৃত শিল্পী নন তাদের বাদ দেয়া হয়েছে।
রতন বলেন, যে অভিযোগে বাদ দেয়া হয়েছে সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন। সোহেল রানা ভাই, নূতন আপা, অঞ্জনা আপা, অরুনা আপা, শাবনূর আপু সবাই আমার জন্য অনুরোধ করেছে কিন্তু কেউ শোনেনি।
রতন বলেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমাকে কথা দিয়েছিলেন যে, সদস্যপদ ফিরিয়ে দেবেন। কিন্তু দেয়নি। জোর করে যদি সদস্যপদ না দেয় তাহলে কিছু করার নেই। তবে আমার মত যাদের বাদ দিয়েছে তাদের কারো কোনো অপরাধ নেই।
আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আগেই নিজেদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চান রতন। সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে এমন মানুষদের চান, যাদের নেতৃত্বে নিয়মিত কাজ করতে পারবেন সিনেমা অঙ্গনে।