নব্বইয়ের মাঝামাঝিতে সিনেমায় পা রেখেই তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠা চিত্রনায়ক রিয়াজ। সমকালীন অপরাপর নায়কদের মধ্যে ছিলেন দর্শকের পছন্দের তালিকার সর্বাগ্রে! শাবনূর, পূর্ণিমাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।
সেই জনপ্রিয় নায়ক শূন্যের মাঝামাঝি এসে সিনেমায় অভিনয় কমিয়ে দেন। পরবর্তীতে ব্যস্ত হতে থাকেন নাটক ও নিজস্ব ব্যবসায়।
তারপর থেকে কালেভদ্রে সিনেমা করলেও রিয়াজ আগের মতো নিয়মিত ছিলেন না। এখন উপলব্ধি করেন, তার সিনেমা থেকে দূরে যাওয়া উচিত হয়নি।
বুধবার এফডিসিতে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে এই আক্ষেপের কথা জানান রিয়াজ।
তিনি বলেন, নির্বাচনের কারণে প্রতিদিন এফডিসি আসতে হচ্ছে। এর বিভিন্ন স্পটে যাতায়াতের কারণে বিভিন্ন স্মৃতি চোখে ভাসছে। এখন উপলব্ধি হয়, সিনেমা থেকে দূরে সরে থাকাটা আমার ভুল ছিল। তাই এই ভুল এবং আপসোস আর করতে চাই না।
সিনেমার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে থাকতে চান বলেই আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে সহ সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ী হয়ে এখানকার মানুষদের সেবা করতে চাই। সেবা করার মানসিকতা নিয়ে এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই মানুষগুলোর সেবা করতে চাই।
এর আগে মিশা-জায়েদ প্যানেলের হয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন রিয়াজ। সেই সময়ে ১৮৪ জন শিল্পীর ভোটাধিকার তুলে নেয়া হয়। মিশা-জায়েদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যাদের ভোটাধিকার তুলে নেয়া হয়েছে সেই সিদ্ধান্তে রিয়াজের নিজেরও স্বাক্ষর রয়েছে।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিয়াজ বলেন, খারাপ মানুষদের ছল চাতুরীর অভাব হয়না। সমিতির চেয়ার খবরদারি করার জন্য না। এই তালিকা যখন করা হয় তখন চোখ বুলানোর সুযোগ হয়নি। তখন উপদেষ্টা যারা ছিলেন কথা বলেছিলেন কিন্তু তালিকা যখন চূড়ান্ত হয় দু’তিনজন ছাড়া কেউ চোখ বুলাতে পারেনি। রাতের অন্ধকারে এই তালিকা করেছিল।
রিয়াজের কথা, তখন প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই সময় ওই প্যানেল থেকে বলেছিল উপদেষ্টা না, আমরা কমিটির মানুষরাই সবকিছু। সেই কমিটির ক্ষমতা যখন শেষ হয় কার্যনির্বাহি মিটিংয়ে আমি কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম, আপনাদের যারা ভোট দেবে তাদের ভোটার রাখবেন বাকিদের বের করে দেবেন এটা তো হয় না।
রিয়াজ বলেন, এটা নিয়ে বাদানুবাদের পরে আমার সঙ্গে যখন তারা একমত হচ্ছিল না সেই মিটিং থেকে আমি বের হয়ে আসি। এরপর থেকে সেই কমিটির সঙ্গে ছিলাম না। এজিএম হয়েছিল তখন আমি সাধারণ মানুষের সঙ্গে বসে ছিলাম। আমাকে কথা বলতে দেয়া হয়নি। সেখানে বলা হয়েছিল সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক (মিশা-জায়েদ খান) ছাড়া কেউ কথা বলতে পারবে না। বিষয়টি আমাকে প্রচণ্ডভাবে কষ্ট দিয়েছে। তখনই বের হয়ে চলে গিয়েছিলাম। সেদিনে গণমাধ্যমকর্মী সেখানে ছিলেন। তারা এই বিষয়টি ভালোভাবে দেখেছেন।