মা-বাবা দুজনকেই মেরে ফেলেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। চাচার সঙ্গে পালিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ১২ বছরের রোহিঙ্গা শিশু সাদ।
এমন অনেক শিশুই পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে বাবা-মা হারিয়ে একাকী বাংলাদেশে পাড়ি জমিয়েছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করছে এসব শিশু। সেখানে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এসব শিশুদের সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের ফেসবুক পেজে সাদকে নিয়ে লেখা হয়েছে, ‘আমার বাবা-মা আজ নেই। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের দুজনকেই মেরে ফেলেছে। আমি আমার চাচার সাথে এখানে পালিয়ে আসি। এখন চাচাই আমার সব,’ বলে মোহাম্মাদ সাদ নামের ১২ বছরের এক রোহিঙ্গা শিশু।
২৫ আগস্টের পর থেকে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ৮ লাখ রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে অর্ধেকই শিশু।
মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতায় নিহত হয় অসংখ্য শিশুর বাবা-মা। নির্যাতন থেকে বেঁচে যাওয়া অনেক শিশু তাদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা প্রতিবেশীদের সাথে পালিয়ে আসে বাংলাদেশে। এসব শিশুদের নিরাপদে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে উখিয়ায় গড়ে তোলা হচ্ছে বিশেষ শিশু সুরক্ষা এলাকা।
রোহিঙ্গা এতিম শিশুদের ছবিসহ তথ্য সংগ্রহের কাজও এগিয়ে চলছে। এ পর্যন্ত ২৬ হাজার ৫৪৭ এতিম শিশু সনাক্ত করা হয়েছে। এই উদ্যোগে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সাথে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প।
এসব শিশুদের যাদের নিকটতম স্বজন পাওয়া যাবে তাদের পরিবারে রেখে লালন পালনের ব্যবস্থা করা হবে। আর যাদের স্বজন নেই তাদের জন্য শিশু বান্ধব আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানসহ সকল ধরনের দায়িত্ব নেবে সরকার।