পুরান ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ওয়ারীতে এখনো সবুজের হাতছানি দেয় বলধা গার্ডেন। বহুতল সব বিল্ডিংএর মাঝখানে এখানকার বৃক্ষরাজির সমারোহে প্রকৃতিদেবী যেন নিজেই এসে ধরা দিয়েছেন। সেখানকার বিরল প্রজাতির সব বৃক্ষ সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ক্যামেলিয়া ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে বলধা গার্ডেনের পুকুরপারে বসে রবি ঠাকুর লিখেছেন ক্যামেলিয়া কবিতাটি। শুধু ক্যামেলিয়া নয়, ঐতিহাসিক এই বাগানটিতে আফ্রিকান টিউলিপ, স্বর্ণ অশোক, পারুল, অ্যামাজান লিলিসহ আছে দেশি বিদেশি বিরল প্রজাতির বিভিন্ন উদ্ভিদ।
প্রকৃতিপ্রেমী জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী ১৯০৯ সালে তৎকালীন ঢাকার অভিজাত এলাকা ওয়ারীতে ৩.৩৮ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করেন বলধা গার্ডেন। সবুজ বৃক্ষরাজিই মানুষের আত্মাকে সতেজ রাখে এই বিশ্বাসে তিনি বাগানটিকে সাইকী বা আত্মা এবং সিবলী অর্থ্যাৎ প্রকৃতির দেবী নামে দুইটি ভাগে বিভক্ত করেন।
এই দুই অংশে তিনি রোপন করেছিলেন বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে আসা বিরল প্রজাতির সব উদ্ভিদ। আছে, ফার্ণ হাউস, অর্কিড হাউস, ক্যাকটাস হাউসসহ বিভিন্ন ধরনের শাপলা। বিরল প্রজাতির বিভিন্ন উদ্ভিদ সংরক্ষনের জন্য বন অধিদপ্তর থেকে এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানালেন কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের অধীনে পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এই বলধা গার্ডেনে শিক্ষা ও গবেষণার কাজে প্রতিদিনই আসে দর্শনার্থীরা।
দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টে: